মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ সতর্ক বার্তা দেন। এ সময় প্রায় কাঁদো কাঁদো হয়ে হংকংবাসীকে মতবিরোধ দূরে সরিয়ে রাখার আহ্বান জানান লাম।
তিনি বলেন, “হংকং একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে।” বিক্ষোভের সময় সহিংসতার কারণে হংকং এমন এক “অতল গহ্বরের দিকে তলিয়ে যাচ্ছে যেখান থেকে আর ফিরে আসার পথ নাই”।
“এক মিনিট চিন্তা করুন, নগরীর দিকে তাকিয়ে দেখুন, আমাদের ঘরবাড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন- আপনারা কি সত্যি চান সব রসাতলে যাক?”
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরকার-বিরোধীদের টানা পঞ্চম দিনের বিক্ষোভে শত শত ফ্লাইট বাতিল এবং চেক ইন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ক্যারি লাম বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে একথা বললেন।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও মঙ্গলবার ফের বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দরে ভিড় জমাতে শুরু করে। বিমানবন্দরের ভেতরের কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা যাত্রীদের ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বেষ্টনী তৈরি করছে। এতে যাত্রীরা বিচলিত হয়ে পড়ছে।
স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতেও দেখা গেছে, বিমানবন্দরের ভেতর বসে থাকা বিক্ষোভকারীদের ভিড়। তাদেরকে টপকে যাত্রাপথের দিকে যেতে হিমশিম খাচ্ছে যাত্রীরা।
চীনে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে দুই মাস আগে প্রস্তাবিত একটি বিল বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠা হংকংয়ের বিক্ষোভ এখন স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভের মুখে প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ওই বিলকে ‘মৃত’ ঘোষণার পরও আন্দোলন থামছে না।
বিক্ষোভকারীরা বিলটি পুরোপুরি বাতিল, পুলিশী নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত এবং ক্যারি লামের পদত্যাগ চাইছে। গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা টানা কয়েকদিনের কর্মসূচি নিয়ে বিমানবন্দরে বিক্ষোভে জড়ো হয়।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে ক্যারি লামকেও সাংবাদিকদের বেশ কয়েকটি প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হয়েছে। হংকংয়ের নাগরিকদের ভয় দূর করতে লাম রাজনৈতিক দায়িত্ব নেবেন কিনা, পুলিশের বিক্ষোভ দমনাভিযান থামাবেন কিনা এবং কখন লাম পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক হবেন এ সমস্ত প্রশ্ন তাকে করেন সাংবাদিকরা।
হংকংবাসীর বিক্ষোভের মুখে বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিলটি স্থগিত করে রাখা হয়েছে কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে ক্যারি লাম তা প্রত্যাহার করবেন কিনা সে প্রশ্নও করেন সাংবাদিকরা।