চলমান বিক্ষোভে অচলাবস্থা কাটেনি হংকং বিমানবন্দরে

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান টার্মিনালে সরকারবিরোধীদের টানা পঞ্চম দিনের বিক্ষোভের কারণে অচলাবস্থা কাটেনি। ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে চেক-ইন প্রক্রিয়াও।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2019, 11:51 AM
Updated : 13 August 2019, 12:17 PM

বিমানবন্দরে বিক্ষোভকারীদের ভিড় বাড়তে থাকায় সেখানকার কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ১০.৩০ জিএমটি থেকে সব ফ্লাইট চেক-ইন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কর্মকর্তারা সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও মঙ্গলবার ফের বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দরে ভিড় জমাতে শুরু করে। বিমানবন্দরের ভেতরের কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা যাত্রীদের ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বেষ্টনী তৈরি করছে। এতে যাত্রীরা বিচলিত হয়ে পড়ছে।

স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের ভেতর বসে থাকা বিক্ষোভকারীদের ভিড়। তাদেরকে টপকে যাত্রাপথের দিকে যেতে হিমশিম খাচ্ছে যাত্রীরা।

এ পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে যাত্রীদেরকে যত দ্রুত সম্ভব টার্মিনাল ভবন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্যাথাই প্যাসিফিকসহ কয়েকটি এয়ারলাইন্স মঙ্গলবার তাদের কয়েকডজন ফ্লাইট বাতিল করেছে।

বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর অন্যতম হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছে। এক বিবৃতিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভের কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবার বিক্ষোভের কারণে যেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের চেক-ইন হয়নি সেসব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ফলে ১০.০০ জিএমটির পর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকা ১৬০ টি ফ্লাইট রওনা হতে পারেনি। মঙ্গলবার দ্বিতীয়দিনের মত অচলাবস্থা চলতে থাকায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।

চীনে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে দুই মাস আগে প্রস্তাবিত একটি বিল বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠা হংকংয়ের বিক্ষোভ এখন স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভের মুখে প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ওই বিলকে ‘মৃত’ ঘোষণার পরও আন্দোলন থামছে না। বিক্ষোভকারীরা বিলটি পুরোপুরি বাতিল, পুলিশী নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত এবং ক্যারি লামের পদত্যাগ চাইছে। গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা টানা কয়েকদিনের কর্মসূচি নিয়ে বিক্ষোভে জড়ো হয়।

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে চীনকেও। বিক্ষোভ দমাতে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও, চীন এখনও সেনাবাহিনী নামানো কিংবা অন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়নি।