তীব্র বাতাস ও টানা বর্ষণ দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি প্রদেশ- ঝেজিয়াং, শ্যানডং ও আনহুইয়ের অসংখ্য এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে বলে জানিয়েছে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
কর্মকর্তারা এখনও ২১ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন।
সোমবার সকাল পর্যন্ত কেবল ঝেজিয়াংয়েই ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রদেশটির বন্যা নিয়ন্ত্রণ সদরদপ্তর নিশ্চিত করেছে; নিখোঁজ ৯ জন।
চলতি বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন লেকিমায় প্রদেশটির প্রায় ৭০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন; এদের মধ্যে ১২ লাখ ৬০ হাজার লোককে সরিয়েও নেওয়া হয়।
টাইফুন এবং এর কারণে সৃষ্ট ভারী বর্ষণ ও বন্যায় কয়েক লাখ হেক্টর ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার স্থানীয় সময় ভোররাতের আগে ঝেজিয়াংয়ের ওয়েনলিং শহরে লেকিমা প্রথম আঘাত হানে। দ্বিতীয় দফায় ঝড়টি আছড়ে পড়ে রোববার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে, শ্যাংডংয়ের কিংডাও উপকূলে।
টাইফুনের কারণে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টি শনিবার বিকাল থেকেই এশিয়ার অন্যতম ‘ফিন্যান্সিয়াল হাব’ খ্যাত সাংহাইকে কার্যত অচল করে রেখেছে।
বেইজিং, সাংহাই, গুয়াংজু, শেনজেন ও চেংডুর কয়েক শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে বলে চীনের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিসিটিভি জানিয়েছে।
বিঘ্ন ঘটেছে ট্রেন যোগাযোগেও।
শনিবার উপকূলীয় শহর ওয়েনঝৌর ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।