কারাগারে জেফরির মৃত্যু নিয়ে অনেক প্রশ্ন

মার্কিন ধনকুবের ও বিনিয়োগকারী জেফরি এপস্টেইন কারাগারে আত্মহত্যা করেছেন। যৌনদাসী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিচার চলছিল।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2019, 05:38 AM
Updated : 11 August 2019, 05:41 AM

নিউ ইয়র্কের একটি কারাগারে স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানায় বিবিসি। কারাগারে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এপস্টেইন কিভাবে আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

মাত্র একদিন আগেই জেফরির বিরুদ্ধে যৌনদাসী পাচার ও প্রতারণার অভিযোগে হওয়া মামলায় আদালতের শতাধিক নথি প্রকাশ পায়। যেখানে জেফরির ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন আভিযোগের কথা বলা হয়।

গত মাসেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এপস্টেইন। সেবার প্রায় অবচেতন অবস্থায় সেল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করার পরও কেন তা আটকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলো না তা খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিও।

আইওয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তিনি কী জানতেন? তার কাছ থেকে আমাদের কী কী জানার ছিল? তিনি যে অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেই কাজে আরো কতজন লাখপতি বা কোটিপতি জড়িত?

“এটা ঠিক, তিনি মারা গেছেন। তবে জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সেই তথ্যগুলো কবরে চলে যায়নি। তাই তদন্ত প্রয়োজন।”

জেফরির আত্মহত্যা:

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগারগুলোর একটি নিউ ইয়র্কের ‘মেট্রোপলিটন কারেকশনাল সেন্টার’ এ শনিবার ভোরে এপেস্টইনকে প্রথমে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার পরপরই তিনি মারা যান।

গত মাসে জামিন আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর এপস্টেইন গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই ঘটনার পর এপস্টেইনের উপর সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিনা সেটা নিয়ে পরষ্পর বিরোধী খবর পাওয়া যাচ্ছে।

দে ব্লাসিও বলেন, “তিনি কী বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় ছিলেন না? এখানে আসলে কী হচ্ছে? আমি মনে করি, এটা এমন একটি প্রশ্ন যার পূর্ণাঙ্গ উত্তর আমাদের পেতেই হবে।”

নিউ ইয়র্কের রিপাবলিকান সিনেটর বেন স্যাস অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারকে লেখা এক চিঠিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিচার বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে এবং জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে অবৈধ কাজে জড়িতরা ভাবছে তারা আজ এইমাত্র শেষ চৎকার কাজটি করে ফেলতে পেরেছে।”

“বিচার বিভাগের প্রতিটি ব্যক্তি……..আপনার বিচারিক কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ওই রাতে কারাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি জানতেন জেফরি এপস্টেইন আত্মহত্যা করতে চাইছেন এবং অন্ধকার জগতের যেসব তথ্য তিনি জানতেন আমরা সেগুলোকে তার সঙ্গে মরে যেতে দিতে পারবো না।”

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “সেখানে গুরুতর কিছু প্রশ্ন উঠেছে যেগুলোর উত্তর পেতেই হবে।”