বৃহস্পতিবার নিওনক্সার ওই কেন্দ্রে লিকুইড প্রপেলেন্ট রকেট ইঞ্জিনের পরীক্ষা চালানোর সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক প্রতিষ্ঠান রোসাটম।
পরীক্ষাকেন্দ্রের আহত তিন কর্মীর শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিস্ফোরণে ২ জন নিহত ও ছয়জন আহত বলে জানিয়েছিল।
রুশ গণমাধ্যমকে রোসাটম জানিয়েছে, দুর্ঘটনার আগে তাদের প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি দলের সদস্যরা রকেট পরিচালনা ব্যবস্থার জন্য ‘আইসোটোপ পাওয়ার সোর্স’ নিয়ে কাজ করছিলেন।
নিওনক্সার এ কেন্দ্রে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রসহ রুশ নৌবাহিনীর ব্যবহৃত প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্রেরই পরীক্ষা হয়ে থাকে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
নিওনক্সার ৪৭ কিলোমিটার দূরের শহর সেভেরোদবিঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনার পর ৪০ মিনিট পর্যন্ত তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। এসময় আরখাঞ্জেলস্ক ও সেভেরোদবিঙ্ক শহরের বাসিন্দারা মেডিকেল আয়োডিনের জন্য ওষুধের দোকানগুলোতে ভিড় করে।
তবে বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক না ছড়ানোয় স্বল্প সময়ের এ বাড়তি মাত্রা শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ক্ষতিকর হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে রুশ প্রতিরক্ষা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী দুটি দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করল।
গত সপ্তাহের সোমবার সাইবেরিয়ার একটি গোলাবারুদ মজুদ রাখার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন নিহত ও আরও ৮জন আহত হয়েছিল। ওই ঘটনায় কাছাকাছি এলাকার একটি স্কুল ও একটি কিন্ডারগার্টেনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সরিয়ে নেয়া হয় সাড়ে নয় হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে।