রয়টার্স জানায়, বুধবার সকালের এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবান গোষ্ঠী।
দেড় যুগের যুদ্ধ বন্ধ ও দক্ষিণ এশীয় দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিদ্রোহী তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের দফায় দফায় আলোচনার মধ্যেও আফগানিস্তানে সহিংসতার কমতি দেখা যাচ্ছে না।
বুধবারের হামলাটিও তারই একটি উদাহরণ। সকালের এ হামলার সময় সড়কে ভিড় ছিল বেশি।
তালেবান বলেছে, পুলিশের একটি ‘রিক্রুটমেন্ট কেন্দ্রে’ তাদের এক আত্মঘাতী বোমারু হামলা চালিয়েছে।
“বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও পুলিশ হতাহত হয়েছে,” বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়া এ মৌলবাদী গোষ্ঠীটি।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসরাত রাহিমি বলেন, বুধবার সকালে একটি থানার বাইরের চেকপয়েন্টে একটি গাড়ি থামানোর পরপরই সেটি বিস্ফোরিত হয়।
উপ আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খোসাল সাদাত পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে এবং ১৪৫ জন আহত হয়েছে। নিহতদের ৪ জন পুলিশ এবং বাকিরা বেসামরিক নাগরিক। আর আহতদের ৯২ জনই বেসামরিক নাগরিক।
“ফের তালেবান কাবুলের একটি বেসামরিক এলাকাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, যা অনেক নিষ্পাপ প্রাণের ক্ষতি বয়ে এনেছে,” টুইটারে এমনটাই বলেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকী।