‘আগুন নিয়ে খেলবেন না’: হংকং বিক্ষোভকারীদের চীনের হুঁশিয়ারি

হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের কঠোর হুঁশিয়ার করে দিয়ে চীন বলেছে, তাদের আগুন নিয়ে খেলা উচিত হবে না এবং বেইজিংয়ের সংযমকে তারা যেন দুর্বলতা না ভাবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2019, 01:35 PM
Updated : 6 August 2019, 01:35 PM

বিক্ষোভকারীরা ‘আগুন নিয়ে খেলার চেষ্টা করলে তাতে শুধু তাদেরই ক্ষতি হবে’ বলে চীন মঙ্গলবার সতর্ক করেছে।

হংকংয়ে গত নয় সপ্তাহ ধরে সরকারের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভ চলছে। বিবিসি জানায়, সোমবার বিক্ষোভকারীদের ঢাকা ধর্মঘটের কারণে এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্য নগরীতে রীতিমত বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার সেখানে দুই শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

চীনে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে দুই মাস আগে প্রস্তাবিত একটি বিল বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠা হংকংয়ের বিক্ষোভ এখন স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপ নিয়েছে।

বিক্ষোভের মুখে প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ওই বিলকে ‘মৃত’ ঘোষণার পরও টানা নয় সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চলছে। বিক্ষোভকারীরা বিলটি পুরোপুরি বাতিল, পুলিশী নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত এবং ক্যারি লামের পদত্যাগ চাইছে।

গত নয় সপ্তাহে কয়েকবারই পুলিশের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। ‘হংকং অ্যান্ড ম্যাকাউ অ্যাফেয়ার্স’ অফিসের (এইচকেএমএও) মুখপাত্র ইয়াং গুয়াং বলেন, “চরমপন্থি বিক্ষোভকারীরা হংকংকে খুবই মারাত্মক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।”

চীন ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার অপেক্ষা করছে জানিয়ে গুয়াং বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে বলেন, “আমাদের ধৈর্যকে দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না।”

“ক্যারি লামের পদত্যাগের দাবিতে যে বিক্ষোভ চলছে তাতে কোনো সমাধান পাওয়া যাবে না। বরং এ বিক্ষোভ হংকংয়ের অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।”

বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের জন্য এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা।

হংকংয়ে এইচকেএমএও খুব একটা সংবাদ সম্মেলন করে না। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে পড়ে গত দুই সপ্তাহে তারা দ্বিতীয়বারের মত সংবাদ সম্মেলন করেছে।

মঙ্গলবারের সম্মেলনে মুখপাত্র ইয়াং গুয়াং বলেন, “চরমপন্থি এবং নৃশংস বাহিনী এ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে। সেখানে কেউ কেউ ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে, যদিও তাদের উদ্দেশ্য ভাল। আর সাধারণ নাগরিকরা তাদের মাঝে আটকে গেছে।”

হংকংয়ে এ বিক্ষোভের পেছনে ‘চীন বিরোধী পশ্চিমা বাহিনীর’ হাত, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মদদ আছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

যদিও হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি রাজনীতিক লাম চেউক-ইং বিবিসি’কে বলেন, বিক্ষোভের পেছনে বাইরের কোনো শক্তি নেই।

“বিদেশি কোনো সরকারের মদদে এই বিক্ষোভ হচ্ছে না, বরং হংকংয়ের জনগণ স্বেচ্ছায় বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে।”