এল পাসোর তাণ্ডব: শিশুদের রক্ষার চেষ্টা অফ-ডিউটি সৈনিকের

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বিপণিবিতানে প্রাণঘাতী এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ চলাকালে অফ-ডিউটিতে থাকা এক সৈন্য ও আরেক ব্যক্তি নিজেদের প্রাণ বিপন্ন করে শিশুদের নিরাপদ জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2019, 06:03 AM
Updated : 4 August 2019, 08:01 AM

শনিবার মেক্সিকো সীমান্তের নিকটবর্তী মার্কিন শহর এল পাসোর ওয়াল মার্ট স্টোরে এক শ্বেতাঙ্গ তরুণের গুলিতে ২০ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হন। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কেটিএসএমকে ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কিছু শিশুকে রক্ষায় তার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ সৈনিক গ্লেনডন ওকলি। 

কেটিএসএমকে ওকলি জানান, এল পাসোর সিয়েলো ভিস্তা মলে তিনি একটি স্পোর্টস জার্সি কেনার সময় একটি শিশু ওই দোকানে দৌড়ে আসে আর বলে, পাশের ওয়ালমার্টের দোকানে এক ব্যক্তি গুলিবর্ষণ করছে।  

এরপর হেঁটে বের হয়ে দোকানটির ফুট লকারের কাছে যাওয়ার পর ‘ব্যাং’, ‘ব্যাং’ শব্দ শুনেন বলে কেটিএসএমকে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি তিনি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন এবং অস্ত্রটি তার সঙ্গেই ছিল।

“আমরা প্রশিক্ষিত, যখন গুলির শব্দ শুনবেন, তখন নিজের বন্দুক বের করে প্রথমে ভেবে নিবেন। এটি এমন একটি অনুভূতি যা ব্যাখ্যা করা যায় না,” বলেন তিনি।

ওকলি জানান, তিনি পার্কিং লটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় দেখতে পান ‘একদল’ শিশু তাদের অভিভাবক ছাড়াই দৌঁড়ে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকে কান্না করছে। 

“এটি দেখে আমি যতজনকে পেরেছি বহন করে আমার সঙ্গে নিয়ে এসেছি, আরেক ব্যক্তিও তাই করেছেন,” বলেন তিনি। এ সময় কেটিএসএম এর প্রতিবেদকের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, “আমি দুঃখিত। আমি কাঁপছি।”

এ ঘটনায় কোনো গোলাগুলি ছাড়াই ২১ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।  

ওকলি যখন ওয়ালমাটের পার্কিং লটে গিয়েছিলেন সেখানে আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল।

“যখন আমি বের হয়ে আসি আমার মনে হয় এক পুলিশ আমাকেই গুলিবর্ষণকারী বা সে ধরনের কিছু ভেবে নিয়েছে, তাই আমার অস্ত্রের একটিও গুলি খরচ হয়নি এটি তাকে দেখাতে বাধ্য হই,” বলেন তিনি।  

তিনি জানান ওই মূহুর্তে তিনি নিজের চেয়েও ওই শিশুদের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্নবোধ করছিলেন।

“আমি ভাবছিলাম যদি আমার সন্তান, যদি আমার একটি এ ধরনের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকতো, তবে আরেকজনের কাছে আমি কী আশা করতাম,” বলেন তিনি।

অনেক সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহাকারী ওকলির এ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।