স্ক্রিপাল হত্যাচেষ্টা: রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার ওপর নতুন করে আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

>>রয়টার্স
Published : 2 August 2019, 06:01 PM
Updated : 2 August 2019, 06:40 PM

এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো রাশিয়াকে ঋণ দিতে পারবে না। তাছাড়া, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মস্কোকে বাড়তি ঋণ কিংবা কোনোরকম অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায়ও বাধা দেবে ওয়াশিংটন।

গতবছর ৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের সলসবেরি শহরের একটি পার্কের বেঞ্চ থেকে সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, তাদের দুজনকে নার্ভ এজেন্ট ‘নোভিচক’ প্রয়োগ করা হয়েছিল।

যুক্তরাজ্য শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, রাশিয়ার গুপ্তচররাই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে মারতে চেয়েছে। পরীক্ষায় ওই নার্ভ এজেন্ট রাশিয়ার তৈরি বলে প্রমাণ পাওয়ারও দাবি করে যুক্তরাজ্য। তবে রাশিয়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র গতবছরই স্ক্রিপাল হত্যাচেষ্টায় রাশিয়া জড়িত ছিল—এমনটি নির্ণয় হওয়ায় পর দেশটির ওপর প্রাথমিকভাবে একদফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এবার তারা দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল।

রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি আইএনএফ থেকে সরে আসার আগের দিন বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‍এ নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশে সই করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আমেরিকার ‘কেমিক্যাল এন্ড বায়োলজিক্যাল উইপন্স কন্ট্রোল এন্ড ওয়েলফেয়ার এলিমিনেশন অ্যাক্ট ১৯৯১’ এর আওতায় রাশিয়ার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ আইন অনুসারে, রাশিয়া আর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে নিশ্চয়তা না দিলে ৯০ দিনের মধ্যে তাদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায়।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র হোগান গিডলি শুক্রবার বলেছেন, “প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা দেয়নি। ফলে আমরা দ্বিতীয় দফায় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি।”

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপে দুঃখ প্রকাশ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রুশ রিয়া সংবাদ সংস্থা। এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার টানাপোড়েনের সম্পর্ককে অরো ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে জানিয়েছে মস্কো।