ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তহবিলের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাষ্ট্র

স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে করা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি আইএনএফ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এখন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তহবিল সংগহের দিকে তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

>>রয়টার্স
Published : 2 August 2019, 12:37 PM
Updated : 2 August 2019, 01:16 PM

রাশিয়া সহযোগিতা করছে না অভিযোগে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী শুক্রবার ‘ইন্টারমেডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

চুক্তিটিতে ৫০০ কিলোমিটার থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছিল।

এখন চুক্তি বাতিল হওয়ায় এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন ও পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো বাধা থাকছে না। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এ কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল খুব দ্রুতই ফুরিয়ে যেতে পারে।

আগামী কয়েক সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র মাটি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর নভেম্বরে পেন্টাগনেরও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিকল্পনা আছে। দুটোই প্রচলিত অস্ত্র পরীক্ষা।

মার্কিন কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে বলেছেন, অস্ত্র পরীক্ষার জন্য যে তহবিল আছে তা একবার শেষ হয়ে গেলে ভবিষ্যতে অস্ত্র গবেষণা এবং পরীক্ষা কর্মসূচি ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ, তহবিল জোগাড়ে বাধা হয়ে দাঁড়াবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ।

রিপাবলিকান অধুষ্যিত সিনেটের সমর্থন পেলেও প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য তার ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারের আবেদনে প্রতিনিধি পরিষদের সাড়া নাও পেতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা কংগ্রেসে পেন্টাগনের বার্তা দিয়ে বলেছেন, “তহবিল না দেওয়া মানে রাশিয়ার চুক্তি ভঙ্গের জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বিভাগের সক্ষমতায় বাধ সাধা। এভাবে আইএনএফ চুক্তিকে ফিরিয়ে আনা যাবে না। বরং এতে কেবল রাশিয়াকেই সহায়তা করা হবে।”

যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, রাশিয়াকে দমিয়ে রাখতে তাদের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন করা প্রয়োজন। তাছাড়া, পেন্টাগন মনে করে চীনকে মেকাবেলা করতেও নতুন অস্ত্র উন্নয়ন কাজে আসবে।