জারিফের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘শিশুসুলভ’: রুহানি

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞাকে ‘শিশুসুলভ আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

>>রয়টার্স
Published : 1 August 2019, 11:57 AM
Updated : 1 August 2019, 11:57 AM

বৃহস্পতিবার রুহানি বলেন, ইরানকে ভয় পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র বুধবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো সম্পদ বা স্বার্থ থাকলে তা জব্দ করা হবে। তবে জারিফ জানিয়েছেন, সেখানে তার কিছু নেই।

এ নিষেধাজ্ঞারই প্রতিক্রিয়ায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, “তারা (যুক্তরাষ্ট্র) শিশুসুলভ আচরণ করছে। তারা প্রতিদিনই বলে আসছিল আমরা আলোচনায় বসতে চাই, নিঃশর্ত আলোচনা। আর ঠিক তার পরপরই আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল।”

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের সই করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে গতবছর একতরফাভাবে বেরিয়ে আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নতুন একটি চুক্তির জন্য ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি নিয়েছেন, যাতে তেহরান আলোচনায় বসে।

ট্রাম্পের এ নীতিতে ক্ষুব্ধ ইরানের সঙ্গে সম্প্রতি কয়েকমাসে উপসাগরে তেল ট্যাংকারে হামলা এবং মার্কিন ড্রোন ভূপাতিতের ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরো অবনতি হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের উত্তেজনা যে কোনো সময় যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

জুলাইয়ে নিউ ইয়র্ক সফরকালে জাতিসংঘের একটি সভায় মার্কিন সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া জারিফের বহু সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে রুহানি বলেন, “যে দেশটি নিজেদের শক্তিধর মনে করে, বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি বলে দাবি করে, তারাই আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারে ভয় পেয়েছে।”

 তিনি বলেন, “জারিফ যখন নিউ ইয়র্কে সাক্ষাৎকার দেন, তখন মার্কিনরা বলে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের জনমতকে বিভ্রান্ত করছেন। তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা, আর গণতন্ত্রের দাবির কী হল?”