উত্তর কোরীয় সৈন্য পক্ষত্যাগ করে দক্ষিণে

উত্তর কোরিয়ার পক্ষত্যাগী এক সৈন্যকে আটক করার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফস (জেসিএস)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2019, 08:54 AM
Updated : 2 August 2019, 08:16 AM

বুধবার সুরক্ষিত ডিমিলিটারাইজ জোন টপকে ওই সৈন্য দক্ষিণে ঢুকে পড়ার পর তাকে আটক করা হয় বলে বৃহস্পতিবার জেএসসির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দুই কোরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত এ ডিমিলিটারাইজ জোনই দুই দেশকে পৃথক করেছে।

আটক ওই সৈন্য পক্ষত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বলে পরে জানায় জেএসসি।

তারা বলেছে, বুধবার রাতে থার্মাল ইমেজিং সরঞ্জামের মাধ্যমে ইমজিন নদীর কাছাকাছি এলাকা দিয়ে দক্ষিণের দিকে ঢোকা অজ্ঞাত পরিচয় ওই সৈন্যকে শনাক্ত করা হয়; মধ্যরাতের ঠিক আগে আগে দক্ষিণের সৈন্যরা তাকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নেয়। 

বুধবার দক্ষিণের সেনারা ডিমিলিটারাইজ জোনের কাছ থেকে একটি মৃতদেহও উদ্ধার করেছে।

মৃতদেহটি উত্তর কোরিয়ার কোনো বেসামরিক নাগরিকের হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার এমন অনুমানের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।

সামরিক-ঘরানার প্যান্ট ও বেল্ট পরিহিত ওই মৃতদেহটি ইমজিন নদী থেকে উদ্ধার করা হয়; মৃতদেহটি অন্তত দুই সপ্তাহের ‍পুরনো বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদেন জানিয়েছে দক্ষিণের বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ।

এর আগে সোমবার সিউল একটি মাছধরার নৌযানে করে সমুদ্রসীমা অতিক্রম করা তিন জেলেকেও পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।

দক্ষিণের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই জেলেরা পক্ষত্যাগ করতে চায় বলে প্রথম দিকে মনে করা হলেও পরে তারা উত্তর কোরিয়ায় ফিরতেই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রতিবছর কয়েকশ উত্তর কোরীয় পক্ষত্যাগের উদ্দেশ্যে দক্ষিণে প্রবেশ করলেও ডিমিলিটারাইজ জোন টপকানোর ঘটনা একেবারেই বিরল।

দুই কোরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত এ সুরক্ষিত এলাকাটির পরতে পরতে মাইন পোতা; এর দু’পাশেই আছে অসংখ্য বেষ্টনী, নিরাপত্তা চৌকি ও নানান সামরিক সরঞ্জাম।

সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে ডিমিলিটারাইজ জোন টপকে এক উত্তর কোরীয় সেনার পক্ষত্যাগের ঘটনা ঘটেছিল।