সৌদি আরব আলোচনা চাইলে আমরাও প্রস্তুত: ইরান

সৌদি আরব আলোচনা চাইলে তার দেশও তাতে অংশ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2019, 07:32 AM
Updated : 1 August 2019, 07:32 AM

বুধবার তিনি এ কথা বলছেন বলে ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরআইবি-র বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

“যদি সৌদি আরব আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকে, আমরা সবসময়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা জন্য প্রস্তুত। আমরা কখনোই প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনার দরজা বন্ধ করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না,” জারিফ এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে আইআরআইবি।

সৌদি আরবের পাশাপাশি তাদের মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও তেহরান আলোচনায় প্রস্তুত বলে জারিফ মন্তব্য করেছেন।

“যদি তারা তাদের নীতি বদলায়, তাহলে আলোচনার জন্য চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হবে,” বলেছেন তিনি।

উপসাগরের উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সমুদ্র সুরক্ষা বিষয়ক বৈঠক হয়েছে বলেও রয়টার্স জানিয়েছে।

বৈঠকে সমুদ্র যোগাযোগ, চোরাচালান, জেলে এবং যৌথসীমান্তের মতো নিয়মিত আলোচ্যসূচিগুলো নিয়েই কথা হয়েছে বলে সংযুক্ত আর আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে রিয়াদ ও তেহরানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি মোটেও গোপন নয়। সম্প্রতি উপসাগরে ছয়টি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় সৌদি আরব ইরানকে অভিযুক্ত করলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।

তেহরান অবশ্য শুরু থেকেই ট্যাংকার হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সংকুচিত করতে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে লাগাম টানতে তেহরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই উপসাগরে ওই ট্যাংকারগুলোতে হামলার ঘটনা ঘটে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের ‘ডি ফ্যাক্টো’ শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান জুনের মাঝামাঝি সময়ে ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘সিদ্ধান্তমূলক অবস্থান’ কামনা করলেও তার দেশ ওই অঞ্চলে যুদ্ধ চায় না বলে মন্তব্য করেছিলেন।

ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে, তেহরান সেগুলো সরবরাহ করে আসছে বলেও অভিযোগ রিয়াদের।

ইরান এ অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছে। হুতিরাও তেহরানের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।