হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর আতশবাজিতে আহত ১০

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে একটি চলন্ত গাড়ি থেকে ছোড়া আতশবাজি বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2019, 04:34 PM
Updated : 31 July 2019, 04:41 PM

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে টিন শুই ওয়াই জেলায় একটি পুলিশ স্টেশনের বাইরে একের পর এক ছুটে আসা জ্বলন্ত আতশবাজি থেকে বাঁচতে আতঙ্কিত লোকজনকে দৌড়ে আড়াল নিতে দেখা গেছে।

চীনে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে দুই মাস আগে প্রস্তাবিত একটি বিল বাতিলের দাবিতে এশিয়ার বৃহৎ বাণিজ্য নগরী হংকং উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভের মুখে প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ওই বিলকে ‘মৃত’ ঘোষণার পরও আন্দোলন থামেনি।

বরং টানা আট সপ্তাহ ধরে সেখানে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালিয়েছে। তারা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে এবং বিভিন্ন সাবওয়ে স্টেশনের গিয়ে ট্রেন চলাচলে বাধা দিচ্ছে।

পুলিশ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। তাদের কয়েকজন টিন শুই ওয়াই জেলায় ওইপুলিশ স্টেশনে বন্দি আছে। গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে।

বিবিসি জানায়, গত রোববার ৪৪ জন বিক্ষোভকারীকে দাঙ্গায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে আদালতে পেশ করা হয়। এ ঘটনার পরই বুধবার ভোররাতের দিকে থানা প্রাঙ্গনে আতশবাজির ওই হামলা হয়।

জুলাইয়ে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সরকার সমর্থকদের মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটল। এর আগে গত ২১ জুলাই ইউয়েন লং এলাকায় মুখোশধারীরা সরকার সমর্থকদের উপর হামলা করে।

বিক্ষোভকারীরা বলছে, কর্তৃপক্ষের হয়ে কাজ করা গুন্ডারাই এসব হমলা চালাচ্ছে। যদিও সরকার এবং পুলিশ জোরাল ভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বুধবারের পোস্ট হওয়া হামলার ফুটেজে দেখা গেছে, একটি গাড়ি থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে আতশবাজি ছোড়া হচ্ছে এবং এরপর গাড়িটি দ্রুত সেখান থেকে চলে যাচ্ছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি। পুলিশ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

বুধবার গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা দাঙ্গার অভিযোগে ৪৪ জন আটকের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানিয়েছে। দোষীসাব্যস্ত হলে আটকৃতদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা এদিন আদালতের বাইরে সমবেত হয়ে ‘আমাদের সময়ের বিপ্লব’ এবং ‘হংকংয়ের স্বাধীনতা চাই’ দাবিতে স্লোগান দিয়েছে।

একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “আমি বিক্ষোভে ভয় পাই না। আজকের সব ঘটনাতেই আমি ক্ষুব্ধ।”

এখন পর্যন্ত হংকং কর্তৃপক্ষ চীনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই বিক্ষোভ মোকাবেলা করছে। তবে অচলাবস্থার অবসান না হলে চীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।