মঙ্গলবার সরকারের এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড বলেন, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, এ মাসে এখন পর্যন্ত ৮৭ হাজার ৬৪৮ জন শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে জড়ো হয়েছে। মে মাসের তুলনায় যা ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ কম। মে মাসে এক লাখ ৪৪ হাজার ২৭৮ জন শরণার্থী সীমান্তে পৌঁছেছিল।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শরণার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।”
যুদ্ধ ও দারিদ্রের হাত থাকে বাঁচতে এ বছরের শুরুতে মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে হন্ডুরাস, এল সালভাদর ও গুয়াতেমালা থেকে লাখ লাখ শরণার্থী হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে মেক্সিকো সীমান্তে জড় হয়। যারা ‘ক্যারাভান শরণার্থী’ নামে বিশ্বজুড়ে খবরের শিরোনাম হয়।
দক্ষিণপশ্চিম সীমান্তে জড়ো হওয়া শরণার্থীদের আটকাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নানা হুমকি দেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
কিন্তু তাতেও শরণার্থীর ঢল না থামায় গত ৩০ মে তিনি মেক্সিকোর সব পণ্যের উপর শুল্ক বসানোর হুমকি দেন। সীমান্তে শরণার্থীর ঢল আটকাতে পারলেই কেবল ওই শুল্ক থেকে রক্ষা পাবে তারা।
ট্রাম্পের হুমকির পর দক্ষিণ ও উত্তর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে মেক্সিকো সরকার হাজার হাজার সীমান্তরক্ষী মোতায়েন করেছে।
এছাড়া, মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তার মাধ্যমে শরণার্থীর সংখ্যা হ্রাস করার চেষ্টাও করছে মেক্সিকো সরকার।