মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘ইকোনোকিম ক্লাবে’ এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
২০১৭ সালের অগাস্টে ট্রাম্প তার ‘দক্ষিণ এশিয়া নীতি’ প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে তিনি যুদ্ধবিক্ষুব্ধ আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন এবং বলেন, তিনি আলোচনার মাধ্যমে তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে সমঝোতা করে ১৮ বছরের যুদ্ধের অবসান করতে চান।
যার প্রেক্ষিতে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আগামী বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা হ্রাস করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পম্পেও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে ওটাই আমার নির্দেশনা।”
“এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত স্পষ্ট: অনন্তকালের এই যুদ্ধ শেষ করা, সেনা ফেরানো এবং কমানো। আমরা আর এতে থাকব না। আমরা আশা করছি, সার্বিকভাবে ওই অঞ্চলে যুদ্ধসেনাদের প্রয়োজনীয়তা কমবে।”
অনেকের ধারণা, ট্রাম্প আগামী নির্বাচনের আগেই তালেবানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়ে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নিতে চাইছেন, অন্তত আংশিক প্রত্যাহার তো চাইছেনই। যাতে নির্বাচনী প্রচারে জনগণকে খুশি করতে সেনা প্রত্যাহারকে নিজের পক্ষে কাজে লাগাতে পারেন।
পম্পেওর এ বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই ওই ধারণাকে আরো বদ্ধমূল করছে।
যদিও সমালোচকদের মতে, “যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যে তাড়াহুড়ো করছে তা শুধু আফগানিস্তানে আবারও তালেবানের উত্থানের পথ পরিষ্কার করবে। শিগগিরই আফগান সেনাদের সেখানে একা যুদ্ধ করার জন্য ছেড়ে আসা হবে।”
এ বছর সেপ্টেম্বরে আগফানিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে তালেবানের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।