সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ডাকার কারণে ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া নাভালনিকে রোববার সকালে মস্কোর কারাগার থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু সোমবার নাভালনির চিকিৎসকের অসম্মতিতেই তাকে ফের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়ে জেলে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নাভালনিকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় প্রাথমিক খবরে বলা হয়েছিল, জেলে থাকা অবস্থায় মারাত্মক অ্যালার্জি সংক্রমিত হয়েছেন তিনি। তার মুখ মারাত্মকভাবে ফুলে যাওয়ায় এবং ত্বক লাল হয়ে ওঠায় নাভালনিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কিন্তু নাভালনির চিকিৎসক ভাসিলিয়েভার ভাষ্য, নাভালনির কোনো অ্যালার্জি নেই, কখনো ছিলও না। তাকে সম্ভবত বিশ প্রয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “নাভালনির শরীরে রাসায়নিকের বিষক্রিয়া হয়েছে। তাকে নিশ্চয়ই রাসায়নিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছে। একে এলার্জি বলাটা উদ্ভট ব্যাপার।”
নাভালনিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ারও বিরোধিতা করেন ভাসিলিয়েভা। তিনি বলেন, নাভালনিকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন এবং তার স্বজনদের ডেকে আনা প্রয়োজন।
অ্যালেক্সেই নাভালনি রাশিয়ার সবচেয়ে বিশিষ্ট বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে কড়া সমালোচক। স্থানীয় নির্বাচন থেকে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের বাইরে রাখার প্রতিবাদে গত শনিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দিয়ে নাভালনি গ্রেপ্তার হন।
ওই বিক্ষোভ চলার সময় সরকারবিরোধী সমাবেশ থেকে আটক হয়েছে আরো প্রায় ১ হাজার চারশ’ জন।
বিক্ষোভকারীদের এমন ঢালাওভাবে ধরপাকড়ের জন্য রাশিয়া সরকারের সমালোচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, এতে মানুষের মত প্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা এবং সভা সমাবেশ করার অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।