শনিবার এ দুইজনসহ মোট তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে দেশটির সরকারি কৌঁসুলির বিবৃতির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ বাহরাইনের শাসকরা সুন্নি সম্প্রদায়ের। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতেই মার্কিন পঞ্চম নৌবহরের ঘাঁটি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, ২০১১ সালে ব্যর্থ এক অভ্যুত্থানচেষ্টার পর থেকে দেশটিতে শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়ন ক্রমাগত বাড়ছে।
বাহরাইনের সরকারি কৌঁসুলির বিবৃতিতে বলা হয়, ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারে দক্ষ ইরানভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে ২০১৭ সালে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
খুন ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত বছর ওই গোষ্ঠীটির ৫৮ জনের বিচার হয়। এর মধ্যে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন, ৩৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়।
শনিবার আলি আল-আরব ও আহমেদ আল-মালালি নামের ওই দুইজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
বিচার চলাকালে দেওয়া সাক্ষ্যে এই দুইজনই তাদের ওপর বাহরাইনি কর্তৃপক্ষের চরম নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছিলেন।
ওই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার আলি ও আহমেদের মৃত্যুদণ্ড বন্ধে অনুরোধ জানিয়েছিল মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।
“নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের মারধর করেছিলেন ও বৈদ্যুতিক শক দিয়েছিলেন। আলি মোহাম্মদ আল-আরবের পায়ের নখও তুলে ফেলা হয়েছিল,” বিবৃতিতে বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বন্দিদের ওপর নির্যাতন এবং বিরোধীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাহরাইন।
মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি তাদের ভূখণ্ডের ভেতর সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ইরানকে দায়ী করে এলেও তেহরান প্রথম থেকেই তা অস্বীকার করে আসছে।
শনিবার তৃতীয় যে ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে এক ইমামকে হত্যার অভিযোগ ছিল।