বরিস জনসনের শুরু, টেরিজা মে'র সারা

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন। তার আগে শেষবারের মত পার্লামন্টে এমপি’দের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2019, 01:10 PM
Updated : 24 July 2019, 01:12 PM

বুধবার পার্লামেন্টে মে বলেন, তিনি পার্লামেন্টের একজন সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

মে আরো বলেন,“বরিস জনসনের মতো একজনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পেরে আমি খুশি, যিনি যথাসময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) এবং দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”

কনজারভেটিভ পার্টির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোটে মঙ্গলবার দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হন লন্ডনের সাবেক মেয়র জনসন। তিনি ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

দলের নেতৃত্ব ছাড়ার সময়ই মে বলেছিলেন, নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরদিনই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।

বুধবারই জনসন দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। তার আগে ডাউনিং স্ট্রিটে মে বিদায়ী ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্ট নিজের শেষ প্রশ্ন-উত্তর পর্বেও মে’কে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।

এদিন প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ‘সরকারি দায়িত্বের প্রতি মে যে সম্মান দেখিয়েছেন’ তার প্রশংসা করেন। তবে একইসঙ্গে তিনি দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যর্থতা, গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বৃ্দ্ধি এবং সর্বপরি ব্রেক্সিট ব্যর্থতার কারণে মের সমালোচনাও করেন।

‘ব্রেক্সিট নিয়ে তার উত্তরসূরির বেপরোয়া পরিকল্পনায়’ সমর্থন দেওয়ার জন্যও মে’র সমালোচনা করেন করবিন।

জাবাবে মে বলেন, “মোদ্দা কথা বলতে গেলে রাজনীতি শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নথিতে ঠাসা বাক্সের অদল-বদল নয় বা বড় বড় ভাষণ কিংবা সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হওয়া নয়।

“বরং দেশের জনগণের দৈনন্দিন জীবনের উত্থান-পতনে আমরা কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পেরেছি, সেটিই রাজনীতি।”

মে বুধবার বিকালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তার পরপরই তার উত্তরসূরি জনসন বাকিংহাম প্যালেস ঘুরে এসে অসীন হবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদে। এরপরই তিনি তার ব্রেক্সিট টিমের সদস্যদের নাম জানাবেন।

প্রধানমন্ত্রী জনসনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ব্রেক্সিটের জটিল অংকের হিসাব মেলানো। জনসন অবশ্য হিসাব মিলাতে না পারলে বিকল্প পথ খোলা রেখেছেন। তিনি আগেই বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কোচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করবেন। এজন্য একটি চুক্তিতে উপনীত হতে পারলে ভাল, নতুবা কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট হবে।