ক্রুদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পর বুধবার সুইডেনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি একথা জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
স্টেনা ইমপেরিও নামের ওই ট্যাংকারটির সঙ্গে একটি মাছধরার নৌকার সংঘর্ষের পর ব্রিটিশ এ নৌযানটিকে জব্দ করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছিল তেহরান।
তবে উপসাগরে এ ধরনের কোনো সংঘর্ষের প্রমাণ পায়নি বলে দাবি করেছে স্টেনা বাক।
প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র প্যাট অ্যাডামসন বলেছেন, “নৌযানটিতে থাকা ক্রুদের সঙ্গে গতরাতে ফোনে সরাসরি কথা বলেছি আমরা; তারা সবাই ভালো আছে। নৌযানটিতে থাকা ইরানিদের সহযোগিতাও পাচ্ছে তারা।”
সামনের দিনগুলোতে ইরানি কর্তৃপক্ষ আরও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছেন স্টেনা বাকের প্রধান নির্বাহী এরিক হানেল।
মঙ্গলবারের এ যোগাযোগ তার ‘প্রথম নিদর্শন’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
স্টেনা ইমপেরিও জব্দের ঘটনাকে ‘দস্যুতা’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে ব্রিটেন। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীতে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তায় ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতৃত্বাধীন টহল কার্যক্রম চালুরও প্রস্তাব দিয়েছে।
অ্যাডামসন বলেছেন, জাহাজ পরিচালনা প্রতিষ্ঠানটির পরবর্তী পদক্ষেপ হবে নৌযানটিতে কাউকে পাঠিয়ে ক্রুদের অবস্থা দেখার চেষ্টা করা।
ক্রুরা কবে ছাড়া পেতে পারেন, সে সম্বন্ধে কোনো সময়সীমা জানাতে পারেননি স্টেনা বাকের এ মুখপাত্র।