সোমবার ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এ দাবি করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।
“আমরা যদি আফগান যুদ্ধে জিততে চাইতাম, এক সপ্তাহের মধ্যে আমি ওই যুদ্ধে জিততে পারতাম, শুধু এক কোটি লোককে হত্যা করতে চাই না বলেই তা করছি না,” বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রায় ১৮ বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে সেপ্টেম্বরের আগেই তালেবানদের সঙ্গে একটি চুক্তি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, চাইলে শক্তিপ্রয়োগ করে সংঘাতের সমাধান ও ‘আফগানিস্তানকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেয়া যায়’, যদিও আলোচনাকেই সমাধানের পথ হিসেবে বেশি পছন্দ তার।
ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের সহযোগিতারও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এনডিটিভি বলছে, গত শতকের ৯০-র দশকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার সময় তালেবানদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল পাকিস্তান। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় মৌলবাদী ওই গোষ্ঠীটি ক্ষমতাচ্যুত হলেও দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফেরানো সম্ভব হয়নি।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও সংঘাত বন্ধে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তালেবানদের সঙ্গে যে শান্তি আলোচনা চলছে, তাতে ইসলামাবাদও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে অনুমান ওয়াশিংটনের।
“গত কয়েক সপ্তাহে বেশ অগ্রগতি হয়েছে, এতে পাকিস্তানেরও সহযোগিতা আছে,” বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ওয়াশিংটনে প্রথম আনুষ্ঠানিক সফরে আসা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেক কিছু হচ্ছে, আমার ধারণা আপনার নেতৃত্বে পাকিস্তানের জন্যও ভালো অনেক কিছুই হবে।”
কয়েক মাস আগেও পাকিস্তান নিয়ে ট্রাম্প যা বলেছেন, সোমবারের অবস্থানকে তার একেবারেই বিপরীত বলছেন পর্যবেক্ষকরা।
মার্কিন সেনা ও স্থাপনার ওপর হামলা চালানো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে ইসলামাবাদ ‘বিশ্বাসঘাতকের মতো আচরণ’ করেছে অভিযোগ করে গত বছর তিনি পাকিস্তানকে প্রতিশ্রুত ৩০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহযোগিতাও ছেঁটে ফেলেছিলেন।