ব্রেক্সিটে ‘কালো মেঘ’, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ

যুক্তরাজ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকায় চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের ‘কালো মেঘ’ ঘনিয়ে আসতে থাকার মাঝে পদত্যাগ করলেন পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যালেন ডানকান।

>>রয়টার্স
Published : 22 July 2019, 04:30 PM
Updated : 22 July 2019, 05:14 PM

প্রধানমন্ত্রী হলে জনসন কোনো চুক্তি হোক আর না হোক আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কোচ্ছেদ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন। আর তাতেই আপত্তি কনজারভেটিভ দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার।

এরই মধ্যে জনসন নতুন প্রধানমন্ত্রী হলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড। মঙ্গলবারই কনজারভেটিভ পার্টি নতুন নেতার নাম ঘোষণা করবে। হামন্ড সেই ফলের অপেক্ষায় আছেন।

কিন্তু জনসনের দীর্ঘদিনের সমালোচক পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যালান ডানকান ফলের অপেক্ষাও করেননি। তিনি সোমবারই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, “যুক্তরাজ্য বিশ্বের মধ্যে নিজেদের অবস্থান বেশ ভালো পর্যায়ে নিয়ে গেছে। দুঃখজনক হল, ঠিক যখন আমরা বুদ্ধিমত্তা ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পুরো ইউরোপ জুড়ে ও ইউরোপ ছাড়িয়ে প্রভাব বিস্তার করতে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনই ব্রেক্সিটে আশঙ্কার কালো মেঘের নীচে আমাদের নিত্যদিনের কাজের সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।”

গত সপ্তাহে সাংস্কৃতিক মন্ত্রী মার্গট জেমসও পদত্যাগ করেন। তিনি জনসনের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে ‘খুবই অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেন।

অনেক চেষ্টা এবং নানা ছাড় দেওয়ার পরও ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে কোনো চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হওয়ার সব দায় কাঁধে নিয়ে গত জুনে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী মে।

দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে নিয়মানুযায়ী তাকে প্রধানমন্ত্রীত্বও ছাড়তে হবে। তার দল কনজারভেটিভ পার্টি নতুন নেতা বেছে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

টোরি নেতৃত্বের জন্য নানা ধাপে বাছাইয়ের পর এখন লড়াইয়ে টিকে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।

মঙ্গলবার নতুন নেতা নির্বাচনের পরদিন মে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে যাবেন।