তাদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে সোমবার ইরানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত উদ্ধৃতিতে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিআইএর গুপ্তচর চক্র উদ্ঘাটন করে ১৭ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে।
“শনাক্ত করা গুপ্তচররা অর্থনৈতিক, পারমাণবিক, অবকাঠামোগত, সামরিক ও সাইবার এলাকার মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি খাতে চাকরি করতো। সেখান থেকে তারা গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছিল,” টেলিভিশনে পঠিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা মন্ত্রণালয়টির এক কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে আধা-স্বায়ত্তশাসিত ফার্স বার্তা সংস্থা।
জুনে ইরান জানিয়েছিল, তারা সিআইএ পরিচালিত সাইবার গুপ্তচরদের বড় একটি নেটওয়ার্ক উদ্ঘাটন করেছে। এ কাজের ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকজন মার্কিন গোয়েন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছিল তারা।
এবারের গ্রেপ্তারের ঘটনাটি ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে।
তেহরানের তেল রপ্তানি বন্ধে ওয়াশিংটনের একের পর এক পদক্ষেপ দুই দেশকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।
সম্প্রতি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে। এরপর হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন নৌযান ইউএসএস বক্সার একটি ইরানি ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে বলে ওয়াশিংটন দাবি করলেও তেহরান তা উড়িয়ে দিয়েছে।