১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান অ্যাপোলো ১১ থেকে চন্দ্রযান ঈগল চাঁদের ট্রাঙ্কুইলিটি বেইস অবতরণ করে।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সময় ৯টা ৫৬ মিনিটে (০২৫৬ জিএমটিতে) নিল আর্মস্ট্রং প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদের বুকে পা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
প্রকৃতপক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে চলা শীতল যুদ্ধের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র চাঁদে মানুষ পাঠালেও এখন অভিযানের ওই অংশটি একটি অনুপম মূহুর্ত হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্মরণ করা হয়, জানিয়েছে বিবিসি।
অনলাইনে ওই অবতরণের ফুটেজ সম্প্রচার করে নাসা এ বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ওই ঐতিহাসিক মূহুর্তটি দেখার সুযোগ পাচ্ছে। ৫০ বছর আগে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ কোটি লোক রুদ্ধশ্বাসে ওই মূহুর্তটি দেখেছিল।
চন্দ্রযানটি অবতরণের মূহুর্তে অ্যাপোলো ১১-র কমান্ডার আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, “হিউস্টন, ট্রাঙ্কুইলিটি বেইস এখানে। ঈগল অবতরণ করেছে।”
এর কয়েক ঘণ্টা পর চাদের পৃষ্ঠে প্রথম পা দিয়ে আর্মস্ট্রং তার বিখ্যাত উক্তিটি করেন, “মানুষের জন্য যা ছোট একটি পদক্ষেপ, মানবজাতির জন্য তা বড় এক লাফ।”
এর কিছুক্ষণের মধ্যে বাজ অলড্রিন চাঁদের পিঠে নেমে আর্মস্ট্রংয়ের সঙ্গে যোগ দেন। তাদের অপরসঙ্গী মাইকেল কলিন্স মূল যানে থেকে অভিযানের এক অংশ নিয়ন্ত্রণ করছিলেন।
এই তিন মার্কিন মহাকাশচারীরই জন্ম ১৯৩০ সালে। এদের মধ্যে অলড্রিন ও কলিন্স বেঁচে থাকলেও আর্মস্ট্রং ২০১২ সালে ৮২ বছর বয়সে মারা যান।
চাঁদে অবতরণের ৫০ বছর পূর্তিতে শনিবার এক টুইটে অলড্রিন বলেছেন, “আমরা সেখানে প্রথম গিয়েছিলাম। আমরা চাঁদে নেমেছিলাম, ২৫ কোটি আমেরিকান আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। সত্য হচ্ছে: অভিযানটি তাদের সবার ছিল এবং আমেরিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যারা আবার চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে।”
মাইকেল কলিন্স ফক্স নিউজকে বলেছেন, “রাতে যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই, অন্ধকার ঘনিয়ে আসে, আমি আমার ডান কাঁধের ওপরে কিছু অনুভব করি, তারপর তাকিয়ে ছোট ওই রূপালি রূপালিটি ওপরে দেখি আর ভাবি, ‘ওহ, ওই চাঁদ। আমি সেখানে গিয়েছিলাম।”
এই দিনটি উপলক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে অ্যাপোলো ১১ মিশন যেখান থেকে রওনা হয়েছিল হিউস্টনের সেই স্পেস সেন্টারেও বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে।