ভারতের মধ্যপ্রদেশে ভেজাল দুধের ৩ কারখানার সন্ধান

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে ‘অতি বিষাক্ত কৃত্রিম দুধ’ উৎপাদনের তিনটি কারখানার সন্ধান পাওয়ার পর সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2019, 01:45 PM
Updated : 20 July 2019, 01:46 PM

শুক্রবার গোয়ালিয়র-চম্বল অঞ্চলে ওই কারখানাগুলোতে অভিযান চালানো হয় বলে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।

এসব কারখানায় উৎপাদিত ভেজাল দুধ মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্রান্ডের মিল্ক ইউনিটগুলোতে সরবরাহ করা হতো। 

এসটিএফ সুপার রাজেশ ভাদোরিয়া জানিয়েছেন, অভিযানে ১০ হাজার লিটার কৃত্রিম দুধ, ৫০০ কেজিরও বেশি কৃত্রিম মাওয়া এবং রাসায়নিক দিয়ে তৈরি ২০০ কেজিরও বেশি পনির জব্দ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, “মোট ২০টি ট্যাঙ্কার ও ১১টি পিকআপ ভর্তি কৃত্রিম দুধ ও অন্যান্য পণ্য জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ লিকুইড ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল মিশ্রিত তেল ও গ্লুকোজ পাউডার জব্দ করা হয়েছে।” 

তিনটি কারখানায় প্রতি লিটারে ৩০ শতাংশ দুধের সঙ্গে কেমিক্যাল মিশ্রিত তেল, লিকুইড ডিটারজেন্ট, সাদা রং ও গ্লকোজ পাউডার মিশিয়ে দুর্ধ তৈরি করা হতো বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।  

একই প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম পনির তৈরি করে তা উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটগুলোতে সরবরাহ করা হতো বলে জানিয়েছেন তারা।

প্রতি লিটার কৃত্রিম দুধ উৎপাদনে মাত্র পাঁচ রুপি খরচ হলেও বড় বড় মার্কেটগুলোতে এসব দুধ লিটার প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ রুপি দামে বিক্রি করা হতো বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। 

টাস্ক ফোর্সের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “প্রতি কেজি পনির ১০০ রুপি থেকে ১৫০ রুপি দরে সরবরাহ করা হতো। তিনটি কৃত্রিম দুধের শীতলীকরণ ইউনিট দিন-রাত সচল থাকতো এবং দৈনিক দুই লাখ লিটার দুধ উৎপাদন করতো।”

যেসব অসাধু লোকজন এসব কৃত্রিম দুধ উৎপাদন করতো তাদের সঙ্গে কয়েকজন সরকারি খাদ্য পরিদর্শকও জড়িত বলে এসটিএফের সূত্রগুলো এনডিটিভিকে জানিয়েছে। ওইসব কর্মকর্তাদের শিগগিরই শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।