টুইটারে পোস্ট করা এক চিঠিতে তিনি মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ‘শত্রুভাবাপন্ন বিদেশি শক্তির’ হাতে চলে যেতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিষয়টিকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন, জানিয়েছে বিবিসি।
রাশিয়ার একটি কোম্পানির তৈরি করা অ্যাপটি সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের উদ্বেগও দেখা দিয়েছে।
তবে আগেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সেইন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক ওয়্যারলেস ল্যাব কোম্পানি জানিয়েছে, প্রায় আট কোটি ব্যবহারকারী তাদের অ্যাপটি ব্যবহার করছে। কিন্তু তারা ব্যবহারকারীদের ছবি স্থায়ীভাবে জমা রাখে না এবং মূল্যবান তথ্যও সংগ্রহ করে না, ব্যবহারকারীরা যেসব ছবি এডিটিংয়ের জন্য নির্বাচন করে শুধু সেগুলো আপলোড করে তারা।
“মূল রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট টিমের অবস্থান রাশিয়ায় হলেও ব্যবহারকারীদের তথ্য রাশিয়ায় পাঠানো হয় না,” সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছে কোম্পানিটি।
কিন্তু কোম্পানিটির এসব বক্তব্য সত্বেও এফবিআই ও মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে (এফটিসি) ফেইসঅ্যাপের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেছেন সিনেটর শুমার।
“যে সব তথ্য জড়ো করা হচ্ছে সেগুলোর সুরক্ষার পাশাপাশি কারা এ তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশ করতে পারবে সে বিষয়ে ব্যবহারকারীরা সচেতন কি না, এই উভয় বিষয় নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন,” চিঠিতে বলেছেন তিনি।
ডেমোক্রেট পার্টির জাতীয় কমিটি ২০২০ সালের নির্বাচনে তাদের দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের ও তাদের প্রচারণা কর্মকর্তাদের ফেইসঅ্যাপ ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করার পর শুমার এ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে।