ইরানের পারমাণবিক চুক্তি লংঘন উল্লেখযোগ্য নয়: ইইউ

চার বছর আগে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তির যতটা লংঘন করেছে ইরান, তা এখনও উল্লেখযোগ্য কিছু নয় এবং চাইলেই বদলানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2019, 07:44 AM
Updated : 16 July 2019, 08:03 AM

২৮ দেশের জোট ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সোমবার তিনি একথা বলেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

“যেসব পদক্ষেপ তারা নিয়েছে তা উল্টে দিতে এবং চূক্তি পুরোপুরি মেনে চলার জন্য ইরানের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি,” বলেন ইইউর এ কর্মকর্তা।

পারমাণবিক চুল্লীর জ্বালানি তৈরি করতে চলতি বছরের মে মাস থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করণের মাত্রা বাড়িয়েছে ইরান। এ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশটি পারমাণবিক বোমা তৈরির পথে হাঁটছে বলে আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের। 

ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে তেহরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বেরিয়ে এসে ইরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করলে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরান এ পদক্ষেপ নেয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই তেহরান পারমাণবিক চুক্তির কিছু অংশ লংঘনের এ সিদ্ধান্ত জানায়।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে তেহরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সরিয়ে নেয়। পাশাপাশি ইরানের অর্থনীতি ধসিয়ে দিতে তাদের তেল রপ্তানি বন্ধেও একের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ইরান এসব নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চুক্তিটি টিকিয়ে রাখার পথ বের করতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সময় বেঁধে দেয়। ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর মে থেকে একটা একটা করে নিষেধাজ্ঞার শর্ত অমান্য করা শুরু করে দেশটি।

“কার্যত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সবই পাল্টানো সম্ভব। আমরা দুঃখিত যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে,” বলেছেন ফেদেরিকা মোগারিনি।

তিনি জানান, চুক্তি স্বাক্ষরকারী ইউরোপের দেশগুলোর কেউই ইরানের লংঘনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না, যে কারণে এর পাল্টায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে না।    

ব্রাসেলসের বৈঠকে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর পাশাপাশি পারমাণবিক চুক্তিটি বহাল রাখার বিষয়ই গুরুত্ব পায় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৈঠকের আগে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি এক যুক্তবিবৃতিতে ইরান পারমাণবিক চুক্তির প্রতি তাদের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে।