উপসাগরীয় অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টায় একথা বলেন হান্ট। ইউরোপীয় দেশগুলো ২০১৫ সালের ওই পরমাণু চুক্তি বাঁচাতে না পারলে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।
এর মধ্যেই সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে হান্ট ওই কথা বলেন। পরমাণু চুক্তিটি বাঁচানোর একটি পথ খুঁজে পাওয়ারও আশা প্রকাশ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইরান ২০১৫ সালে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে তাদের পারাণবিক কর্মসূচির সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে এ চুক্তি সই করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র গতবছর এ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়ে ইরানের ওপর সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করাসহ নতুন নতুন আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে উত্তেজনা বাড়ে।
চুক্তিতে থাকা ইউরোপীয় দেশগুলো এখন এ চুক্তি বাঁচানো এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানকে রেহাই দেওয়া নিয়ে চাপের মুখে আছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে ইরান একে পর এক চুক্তির প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে।
এ পরিস্থিতির মধ্যে উপসারে তেলের ট্যাংকার আটকের ঘটনা নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও ইরানের উত্তেজনা বেড়েছে। জিব্রালটার উপকূলে ব্রিটিশ রাজকীয় মেরিন বাহিনীর সহায়তায় আটক ট্যাংকার গ্রেস ওয়ান অবিলম্বে ছেড়ে দিতে বলেছে ইরান। তবে যুক্তরাজ্য ট্যাংকার ছেড়ে দেওয়ার জন্য শর্ত দিয়েছে।
দুপক্ষের এ উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় দেশগুলো। আর সেখানেই হান্ট বলেছেন, “পরমাণু চুক্তি এখনো মরে যায়নি।” কিন্তু ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে এগুলে পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক এবং তিক্ত হয়ে উঠবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
হান্ট বলেন, “ইরানের এখনো পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে অনেকটা সময় লাগবে। এর মধ্যে পরমাণু চুক্তিটি বাঁচানোর জন্য এখনো কিছু সময় আছে বলে আমরা মনে করি।” আর এজন্য চুক্তিতে থাকা ফ্রান্স, জার্মানিসহ অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
বৈঠকের আগে একটি যৌথ বিবৃতিতে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি ইরানের পরমাণু চুক্তিতে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে উপসাগর অঞ্চলে বর্তমান পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে তারা খুবই অস্বস্তিতে আছে বলেও জানিয়েছে।