রোববার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব মহড়ার খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বেইজিংয়ের তুমুল আপত্তি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের কাছে ২২০ কোটি ডলারের ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রিতে সম্মত হয়েছে।
এতে পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ নিয়ে দুই দেশের চলমান বিরোধের মধ্যেই তাইওয়ানকে ঘিরে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং।
তাইওয়ানকে মূলভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন। তাইওয়ান স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে শক্তি প্রয়োগ করে দ্বীপটিকে ভূখণ্ডভুক্ত করা হবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা।
রোববার এক বিস্তৃত বিবৃতিতে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তাদের পিপলস লিবারেশন আর্মি (চীনা সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক নাম) দক্ষিণপূর্ব উপকূলে মহড়া চালিয়েছে।
তবে সমুদ্রের কোন এলাকায় এ মহড়া হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থান জানায়নি তারা।
“সামরিক বাহিনীর বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ এসব মহড়া,” বিবৃতিতে এমনটাই বলা হয়েছে।
সঙ্কীর্ণ তাইওয়ান প্রণালীর এক পাশে তাইওয়ান ও অপরপাশে চীনের দক্ষিণপূর্ব উপকূল। এই উপকূলটি চীনের সবচেয়ে সংবেদনশীল এলাকাগুলোর অন্যতম বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মিত্র ক্যারিবীয় দেশগুলো সফরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই-ইং ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতির সময়ই চীন এ বিমান ও নৌ মহড়ার ঘোষণা দিল।
সাইয়ের এ সফর ও যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছে; ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’ তিক্ত চীন-মার্কিন সম্পর্কেও এটি প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান পর্যবেক্ষকদের।