আসামে ২৫ জেলা বন্যা কবলিত, ৭ জনের মৃত্যু

ভারতের আসাম রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ইতোমধ্যে ২৫টি বন্যা কবলিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2019, 06:35 AM
Updated : 13 July 2019, 04:40 PM

পরবর্তী ঘণ্টাগুলোতে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজ্যটির নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিচ্ছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ।

ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় আসামের সবচেয়ে বড় নগরী গুয়াহাটিতে তীব্র বন্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আরো ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

তীব্র স্রোত থাকায় দুর্ঘটনা রোধে শুক্রবার থেকে রাজ্যের সবগুলো নদীতে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

বন্যায় এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

রাজ্য জুড়ে ৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২০ হাজারের বেশি বন্যা দুর্গতকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্যাক্রান্ত ২৫ জেলায় ১৫ লাখেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বারপেটা জেলা থেকে পাঁচ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

২৭ হাজার হেক্টরের বেশি কৃষিজমি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতিবেশী অরুণাচল প্রদেশেও তীব্র বন্যা দেখা দিয়েছে। সেখানে চীন সীমান্তবর্তী তাওয়াং জেলায় ভূমিধসে দুই স্কুল শিক্ষার্থী মারা গেছে।

গত মঙ্গলবার থেকে সেখানে টানা ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকায় ভূমিধসে অনেক সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

আসামে উজানের চা-বাগান সমৃদ্ধ ধেমাজী ও লাখিমপুর এবং ভাটিতে বনগাইগাঁও এবং বারপেটা শহর বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কর্মকর্তরা জানায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢল বিভিন্ন ভ্যালি হয়ে ভাটি এলাকা প্লাবিত করছে।

প্রতিবেশী দেশ ভুটানেও পাহাড়ের পাদদেশে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বন্যায় আসামের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের ৭০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যা চলাকালীন জরুরি আশ্রয়স্থল হিসেবে নির্মাণ করা প্লাটফর্মগুলোতে দুর্গত প্রাণিরা আশ্রয় নিয়েছে বলে পার্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।