গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনীর মেরিন ইউনিটের সদস্যদের সহায়তায় জিব্রাল্টারের কর্মকর্তারা একটি সুপার-ট্যাংকার গ্রেস ১ জব্দ করে। ইরান অবিলম্বে ট্যাংকারটি ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ওই ট্যাংকারটিতে ইরান থেকে সিরিয়ায় অশোধিত তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে সন্দেহ করা হয়।
ইরান ওই ট্যাংকার জব্দের ঘটনায় তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং ট্যাংকারটি অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগও করে।
বুধবার ইরানি মন্ত্রিসভার এক বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় টিভিতে রুহানি বলেন, “আপনারাই (ব্রিটেন) অনিরাপদ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটিয়েছেন এবং পরে আপনারা এর পরিণতি বুঝতে পারবেন।”
“এখন আপনারা এতটাই নিরাশ যে আপনাদের কোনো তেলের ট্যাংকার এ অঞ্চল দিয়ে যেতে চাইলে আপনাদেরকে সেটি পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুদ্ধজাহাজ আনতে হয়। কারণ, আপনারা ভয় পাচ্ছেন। তাহলে কেন আপনারা ট্যাংকার জব্দ করার মত কাজ করছেন? আপনাদের বরং নৌপথে চলাচল নির্বিঘ্ন করা উচিত।”
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ইরান তাদের ইউরেনিয়াম মজুদ হ্রাস করে নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সম্প্রতি ওই প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি বাড়িয়েছে।
এ বিষয়ে রুহানি বলেন, ‘পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি এবং অন্যান্য শান্তিপূর্ণ প্রকল্পে’ ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানো হয়েছে।
“এটি পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন নয়। বরং চুক্তির কাঠামোর মধ্যে থেকেই আমরা এটা করছি।” ইরানকে চুক্তি লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।