মঙ্গলবার কাঠমাণ্ডুর কাভরে জেলা আদালত এ রায় দেয়। কানাডার নাগরিক পিটার জন ডগলিশকে (৬২) গত বছর কাঠমাণ্ডুর কাছে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তার বিরুদ্ধে ১২ ও ১৪ বছরের দুই বালককে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয় এবং জুনে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।
কাভরে জেলা আদালতের তথ্য কর্মকর্তা বলেন, “পিটার ডগলিশকে একটি মামলায় নয় বছর এবং অন্য একটি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
উভয় সাজার মেয়াদ তাকে একবারে ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার পর ডগলিশের আইনজীবী তার মক্কেলকে নির্দোষ দাবি করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। তিনি বলেন, “এ মামলার তদন্ত যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়নি। তাই আমরা আপিল করব।”
কারাদণ্ডের পাশাপাশি ডগলিশকে নয় হাজার ১শ’ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। ডগলিশ পথ শিশু, যুদ্ধ নিপীড়িত শিশু এবং শিশু শ্রম নিয়ে সোচ্চার হয়ে খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন। ২০১৬ সালে কানাডার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননাও পেয়েছিলেন তিনি।
গত দশকে ডগলিশ জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি জাতিসংঘের হ্যাবিটেট ইন আফগানিস্তানের প্রধান ছিলেন। ২০০০ এর শুরুর দিকে নেপালে তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের উপদেষ্টা।
সমাজকর্মীরা বলছেন, ডগলিশের এ সাজা নেপালে সম্ভাব্য অন্যান্য অপরাধীদের সতর্ক করতে সহায়ক হবে। নেপাল সরকার শিশু নিপীড়নের বিরুদ্ধে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে না মনে করে যারা দিবাস্বপ্ন দেখছে, এ রায় তাদের সে স্বপ্ন ভাঙবে।