কাতারের দোহায় তালেবান প্রতিনিধি এবং আফগান সরকারের কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালী আফগানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত দুইদিনের শান্তি সম্মেলনে দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে এ মতৈক্য হয়েছে।
সোমবার সম্মেলনের এক যৌথ বিবৃতিতে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনার অবসান ঘটানো এবং ‘ইসলামিক মতাদর্শ অনুযায়ী নারীদের অধিকার সুরক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাছাড়া, দুপক্ষই মানুষকে শ্রদ্ধা করার পাশাপাশি তাদের মর্যাদা রক্ষা এবং জান-মালের সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা চলার মাঝেই আফগান ও তালেবান রক্তক্ষয় বন্ধে রাজি হল।
দুপক্ষে এ সমঝোতার পর মঙ্গলবারই তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সপ্তম দফা আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তারা খুব শিগগিরই একটি চুক্তিতে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। যে চুক্তির আওতায়, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে অভিযানের মাধ্যমে আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে তালেবান গোষ্ঠীকে উৎখাত করে। তারপর থেকেই দেশটিতে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র -তালেবান আলোচনা চলছে গত কয়েক বছর ধরে।
যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সীমা ঘোষণা না করা পর্যন্ত তালেবান গোষ্ঠী সরাসরি আফগান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
কিন্তু কাতারের শান্তি সম্মেলনে ব্যক্তিগতভাবে অংশ নিয়েছেন কয়েকজন উর্ধ্বতন আফগান সরকারি কর্মকর্তা। আর এ থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যতে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পট প্রস্তুত হল বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আলোচক জালমে খলিলজাদ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “আফগানদের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা এক বড় ধরনের সাফল্য।”
অন্যদিকে, আফগান নারী বিষয়ক নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক ম্যারি আকরামি বলেছেন, “এটি চুক্তি নয় বরং তা আলোচনা শুরুর ভিত। সবচেয়ে ভাল দিকটি হচ্ছে দু’পক্ষ একমত হয়েছে।”