যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তা ‘কাজে আসবে না’ বলে রুহানি উল্লেখ করেন এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনার নিন্দা জানান। এসবের মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজ মানসিক বৈকল্যরই পরিচয় দিয়েছে বলে রুহানি মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ‘সরকার শত্রুতামূলক আচরণ করছে’ দাবি করে এর জন্য খামেনিকে দায়ী করেছেন। খামেনির পাশাপাশি ইরানের নৌবাহিনী, এয়ারোস্পেস ও ইসলামিক রেভোলুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) আট জ্যেষ্ঠ কমান্ডারের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তিনি।
বিবিসি জানায়, এ সপ্তাহ শেষে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার এ খড়গের মধ্যেই ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন তিনি ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি করা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে ইচ্ছুক। যে চুক্তির আওতায় ইরান তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি হ্রাস করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে।
ইরান চাইলে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলেও এর আগে জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনীতির পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলেই মন্তব্য করেছে ইরান।
খামেনির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা একটা ‘আহাম্মকি এবং খুবই গর্হিত কাজ’ বলে মঙ্গলবার টিভিতে এক ভাষণে নিন্দা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত এটাই প্রমাণ করেছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনা চান না।
তিনি বলেন, “আপনারা এরই মধ্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে আপনারা মিথ্যা বলছেন। আপনারা আন্তরিক নন। আসলে আলোচনা আপনারা চাইছেন না। আপনারা যে আন্তরিক বিশ্ববাসীর মনে সে বিশ্বাস জন্মানোর জন্য আপনারা কিছু সময় অপেক্ষা করতে পারতেন।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মৌসাভি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা হবে ‘কূটনীতির পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ারই লক্ষণ’।