অভিযুক্তদের মধ্যে ভবনের চীনা মালিক চেন কুন ও নির্মাণ সুপারভাইজার ডেং জিং গুই আছেন। বাকি তিন চীনা নাগরিকের সঙ্গে একজন ভিয়েতনামী এবং একজন কম্বোডীয়কেও মঙ্গলবার অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত শনিবার ভোররাতে দেশটির উপকূলীয় শহর সাইহানুকভিলে একটি নির্মাণাধীন সাত তলা ভবনের স্টিল ও কংক্রিটের কাঠামো ধসে পড়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরো ২৬ জন।
হতাহতরা সবাই নির্মাণ শ্রমিক। ভবন ধসের সময় তারা সেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভবন ধসের দুইদিন পর ধ্বংসস্তুপ থেকে দুই শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
একটি চীনা প্রকল্পের অধীনে ভবনটি নির্মিত হচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর সাইহানুক প্রদেশের গভর্নর উন মিন পদত্যাগ করেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী হুন সেন একজন শীর্ষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন।
ভবন ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত কয়েক বছরে কম্বোডিয়ার বন্দরনগরী এবং রিসোর্টের শহর সাইহানুকভিলে চীনের বিনিয়োগ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বিশেষ করে ক্যাসিনো, আবাসন ও পর্যটন ক্ষেত্রে। সেইসঙ্গে নির্মাণের মান নিয়েও দিন দিন প্রশ্ন উঠছে।
শনিবারের ওই দুর্ঘটনার পর কম্বোডিয়ায় চীনা বিনিয়োগের প্রকৃতি নিয়ে আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সমালোচকদের অভিযোগ, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং সঠিক বিবেচনা না করেই চীনা বিভিন্ন প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
কম্বোডিয়ার সবচেয়ে বড় বন্দর নগরী সাইহানুকভিল চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।