ছয় মাসের তদন্ত শেষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা অ্যাগনেস ক্যালামার্ড তার প্রতিবেদনে বুধবার এ তথ্যজানান।
জাতিসংঘ আগেই ১০০ পাতার ওই তদন্ত প্রতিবেদন সৌদি আরবে পাঠিয়ে দিলেও এখনো রিয়াদ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানোহয়নি।
গত বছর ২ অক্টোবর ব্যক্তিগত কিছু নথিপত্র তুলতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট জামাল খাশুগজি। দূতাবাস ভবন থেকে তিনি আর বের হননি।
খাশুগজি নিখোঁজ হওয়ার পর তুরস্ক সরকার এজন্য সৌদি আরবকে দায়ী করে বলেছিল, যুবরাজ সালমান তাকে দূতাবাস ভবনের ভেতরহত্যা করিয়েছেন।
শুরুতে অস্বীকার করলেও পরে দূতাবাস ভবনে খাশুগজিকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। তবে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনেকোনোভাবেই যুবরাজ সালমান জড়িত নন বলে তাদের দৃঢ় দাবি।
খাশুগজির মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে দূতবাস ভবন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি এক কৌঁসুলি। এমনকি তারসঙ্গে থাকা জিনিসপত্রও সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে দাবি তাদের।
জাতিসংঘ তদন্ত কর্মকর্তা ক্যালামার্ড বলেন, “খাশুগজিকে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং পূর্বপরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। বিশেষ তদন্ত শেষেএটাই পাওয়া গেছে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের এ দায় সৌদি আরবের।”
এ বছরের শুরুর দিকে একদল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং আইন বিশেষজ্ঞ নিয়ে তুরস্ক যান ক্যালামার্ড। তুরস্ক কর্তৃপক্ষও তাদের কিছুপ্রমাণ সরবরাহ করেছে বলে জানান তিনি।
ক্যালামার্ড বলেন, “ওই সব প্রমাণ বিশ্বাসযোগ্য। এ নিয়ে নিশ্চিতভাবেই আরো উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। আমরা সৌদি আরবেরসন্দেহভাজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রতেক্যের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে তদন্ত করব, যাদের মধ্যে যুবরাজও রয়েছেন।”
“ইতোমধ্যে আমাদের মানবাধিকার তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সৌদি যুবরাজ দায়ী থাকার বিষয়ে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়াগেছে। যেটা পরবর্তী তদন্তের দাবি রাখে।”
ক্যালামার্ড এ খুনের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে আহ্বান জানান।