এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলোতে দীর্ঘ সাত দিনের অচলাবস্থার অবসান হতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ চিকিৎসকরা ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন বলে জানায় আনন্দবাজার পত্রিকা।
এদিন বিকাল চারটার দিকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় নবান্নে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ৩০ জনের একটি প্রতিনিধি দল মমতার সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
চিকিৎসকদের শর্ত মেনে ওই বৈঠক টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। আনন্দবাজার জানায়, মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “সবার আগে দেখা হবে হাসপাতালে যাতে আর একটাও হামলার ঘটনা না ঘটে। যদি ঘটে যায়, সে ক্ষেত্রেও দ্রুত এবং কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বৈঠকে চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১২ দফা লিখিত দাবি পেশ করেন। প্রতিটি দাবিই তারা আলাদা আলাদা ভাবে বিস্তারিত আকারে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে পেশ করেন।
সেখানে হাসপাতালে চিকিত্সকদের নিরাপত্তায় পুলিশের সংখ্যা এবং সক্রিয়তা বাড়ানোর দাবি যেমন ছিল, তেমনই ছিল রোগীদের অভাব অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য হাসপাতালের গ্রিভ্যান্স সেল বা অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে সামনে নিয়ে আসার দাবিও।
একইসঙ্গে বিভিন্ন হাসপাতালে রাজনৈতিক দলগুলির ‘প্রভাব’ কমানোর জন্যও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয় বলে জানায় আনন্দবাজার।
নীলরতন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের। তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নিয়ে যথাযথ তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
বলেন, “ভবিষ্যতে যেন এমনটা আর না ঘটে তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও আপনাদের।”
বেশ কয়েক দিনের বরফ গলে এ দিন বৈঠকের শুরু থেকেই উভয়পক্ষ নমনীয় আচরণ করেছে। মমতা এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা উভয় একে অপরের কথা শুনেছেন মন দিয়ে।
বৈঠকে কিছু অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ উঠলেও সুর কখনও চড়া হয়নি। আন্দোলনকারীদের সব দাবির সঙ্গেই একমত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।