১০ দিনেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা ছাড়াবে ইরান

ইরান স্বল্পমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়াচ্ছে এবং ১০ দিনের মধ্যেই পরমাণু চুক্তিতে বেঁধে দেওয়া ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা পেরিয়ে যাবে। ইরানের আনবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র একথা বলেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 02:20 PM
Updated : 17 June 2019, 04:42 PM

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে দেশটির আনবিক শক্তি সংস্থা একথা জানাল। সম্প্রতি ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করায় দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ইরান ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

ইরানের আনবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালবন্দি রাষ্ট্রীয় টিভি’তে বলেছেন, “আমরা অতি সম্প্রতি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চারগুণ বাড়িয়েছি। যাতে ১০ দিনের মধ্যে আমাদের ইউরেনিয়ামের মজুদ বেঁধে দেওয়া ৩শ’ কেজি সীমা অতিক্রম করে যায়। এখনো সময় আছে... যদি ইউরোপীয় দেগুলো ব্যবস্থা নেয়।”

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, ইরান ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না এবং এই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ৩শ’ কিলোগ্রামের বেশি মজুদ রাখতে পারবে না।

চুক্তির আগে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশে পৌঁছেছিল। পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্র একবছর আগে ইরানের সঙ্গেকার এ পরমাণু চুক্তিকে দুর্বল আখ্যা দিয়ে এ থেকে সরে এসে দেশটির ওপর পুরোনো সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে। কিন্তু চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করা ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো চুক্তিটি সমর্থন করছে। ইরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে সুরক্ষা চাইছে।

ইরানের আনবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ বলেছেন, “ইরানের রিজার্ভ প্রতিদিনই খুব দ্রুত হারে বাড়ছে। আর ইউরোপীয়দের কাছে চুক্তিটি সুরক্ষিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ হলে তাদের সাধ্যমতই চেষ্টা করা উচিত...তারা যত তাড়াতাড়ি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারবে, ততই অবস্থা আগের পর্যায়ে ফিরে যাবে।”

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রতিবাদে তেহরান গত মে মাসেই ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কিছু প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার হুমকি দিয়েছিল।