ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে

ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে পড়ে আর্জেন্টিনা ও প্রতিবেশী উরুগুয়ের কোটি কোটি বাসিন্দাকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ভুগতে হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 04:18 AM
Updated : 17 June 2019, 04:51 AM

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ৭টার দিকে আর্জেন্টিনার গ্রিড ‘বিপর্যয়ে’ প্রায় পুরো দেশ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে বলে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

আর্জেন্টিনার প্রতিবেশী উরুগুয়ে এবং প্যারাগুয়ের বড় একটি অংশও ও চিলির কিছু অংশ এই বিপর্যয়ের শিকার হয়। একই বিদ্যুৎ গ্রিডের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং প্যারাগুয়ে ও চিলির কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে এমনটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আর্জেন্টিনার গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ থাকলেও ব্রাজিল এই বিপর্যয়ের গুরুতর প্রভাব এড়াতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়কে ‘নজিরবিহীন’ অভিহিত করে এর কারণে এখনও পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও মাকরি। ঘটনার পূর্ণ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। 

সামাজিক যোগাযোগ ম্যধমে এক পোস্টে তিনি বলেন, “ঘটনাটি নজিরবিহীন। গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হবে।”

রোববার সন্ধ্যার পর আর্জেন্টিনার ৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরে আসার পর উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয় বলে দেশগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার জ্বালানিমন্ত্রী গুস্তাবো লোপেতেগি জানিয়েছেন, দেশের ‘আন্তঃসংযোগ সিস্টেমের’ ব্যর্থতার কারণেই বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা শুরু হয়েছিল। এর মূল কারণ অজানা রয়ে গেছে এবং ১০-১৫ দিনের মধ্যেও পূর্ণ তদন্ত শেষ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

“সিস্টেমের একটি ব্যর্থতার কারণে এটি হয়েছিল। আর্জেন্টিনা ও অন্যান্য দেশে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে,” বলেছেন তিনি।

তিনি জানান, সিস্টেমের ব্যর্থতা কারণে শুরু হওয়া সমস্যার পর একের পর এক ঘটনা ঘটে সামগ্রিক বিপর্যয়ের কারণ হয়।

আর্জেন্টিনার টিয়েরা দেল ফুয়েগো প্রদেশ বাদে অন্য সাতটি প্রদেশের সবগুলোই এই বিপর্যয়ের কবলে পড়েছিল। জাতীয় পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকায় টিয়েরা দেল ফুয়েগো এ বিপর্যয় এড়াতে পেরেছে।

আর্জেন্টিনার রাজধানী ‍বুয়েনস আইরেসের বাসিন্দারা বিশ্ব ‘বাবা’ দিবসের দিনটিতে ঘুম থেকে উঠে পুরো শহরকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দেখতে পান। বিদ্যুৎ না থাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ট্র্যাফিক সিগন্যালগুলোতে বাতি না জ্বলায় পুরো শহরজুড়ে গাড়ি চলাচলে বিশৃ্ঙ্খলা তৈরি হয়। পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং দিনের অধিকাংশ সময় ধরে ফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগ অচল হয়ে থাকে বলে দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেগুলোতে বলা হয়েছে।