মমতার সঙ্গে বৈঠকে রাজি, তবে শর্ত দিলেন চিকিৎসকরা

পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা টানা ছয় দিন ধর্মঘটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2019, 03:54 PM
Updated : 16 June 2019, 04:07 PM

তবে তাদের শর্ত আলোচনা সংবাদমাধ্যমের সামনে হতে হবে, রুদ্ধদ্বারে নয়। এমন জায়গায় বৈঠক হতে হবে যেখানে সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধি ও সংবাদমাধ্যম জায়গা পাবে।

এর আগে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সচিবালয়ে তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন।

কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা মমতার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বরং তাকে পাল্টা প্রস্তাব দিয়ে বলেছিল,মুখ্যমন্ত্রীকেই এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে অচলাবস্থার অবসান করতে হবে।

গত সোমবার রাতে রাজধানী কলকাতার নীলরতন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর পর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে তুলে দুই জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করা হয়। মৃত রোগীর প্রতিবেশী ও স্বজনরা লাঠি, ইট নিয়ে হাসপাতালে তাণ্ডব চালায়। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে পরিবহ নামের এক জুনিয়র চিকিৎসকের মাথার খুলিতে চোট লাগে।

এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করে, যা ক্রমে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের টানা ধর্মঘটের কারণে রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হয় তার সঙ্গে অথবা রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

মমতার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে চিকিৎসকরা হাসপাতালে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের অপমান করে দেওয়া ব্যক্তব্যের জন্য মমতাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়।

তবে রোববার নিজেদের ওই অনড় অবস্থান থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাদের এক প্রতিনিধি বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসে যত দ্রুত সম্ভব এ অবস্থার অবসান চাই। তবে ওই আলোচনা স্বচ্ছ হতে হবে, রুদ্ধদ্বার নয়। সব কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে হতে হবে।”

তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও তাদের এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ওদিকে, সরকারের সঙ্গে আলোচনার পট প্রস্তুত হলেও ১৭ জুন সোমবারের প্রস্তাবিত কর্মবিরতি থেকে পিছু হঠতে রাজি হয়নি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। ফলে এদিন জরুরি ছাড়া সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।