ট্যাংকার হামলা: ‘চূড়ান্ত’ জবাব দেওয়ার আর্জি সৌদি আরবের

ওমান উপসাগরে তেলবাহী ট্যাংকারের ওপর সর্বশেষ হামলার ঘটনায় ‘দ্রুত ও চূড়ান্ত’ জবাব দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে সৌদি আরব। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2019, 05:57 PM
Updated : 15 June 2019, 05:57 PM

দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ জ্বালানি সরবরাহ ও বাজারের স্থিতিশীলতার ওপর হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃহস্পতিবার ওমান উপসাগরে জ্বালানিবাহী দুটি ট্যাংকারের ওপর হামলা হয়। এর একমাস আগে আরব আমিরাতের উপকূলে জ্বালানিবাহী চারটি ট্যাংকারের ওপর হামলা হয়েছিল।

এসব ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করেছে। ইরান এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। এই দেশ দুটির মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা চলার সময়ই এসব হামলার ঘটনা ঘটলো। 

বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনার পর বিশ্ব বাজারে তেলের দাম এক লাফে চার শতাংশের মতো বেড়ে গেছে।

শনিবার বিশ্বের বৃহত্তম শিপিং অ্যাসোসিয়েশন বিআইএমসিও-র প্রধান জানিয়েছেন, এসব হামলার কারণে কিছু কোম্পানি তাদের জাহাজগুলোকে হরমুজ প্রণালী ও ওমান উপসাগরে প্রবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছে।

বিআইএমসিও-র সমুদ্র নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান জ্যাকব লারসেন বিবিসিকে বলেছেন, পরিস্থিতি আরও নাজুক হলে ট্যাংকারগুলোর জন্য সামরিক পাহারার ব্যবস্থা করা হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে তাতে বৃহস্পতিবারের হামলার পর একটি ছোট নৌকায় থাকা ইরানি বাহিনীকে আক্রান্ত একটি জাহজের কাঠামো থেকে একটি অবিস্ফোরিত মাইন সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। তবে এতে আরব আমিরাতের উপকূলে ট্যাংকারে চালানো হামলার সঙ্গে ইরানের জড়িত থাকার অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

২০০৭ সালে ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক দ্রুত নাজুক হয়ে পড়ে। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় জাতির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ইরানের ওপর ফের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।