পোল্যান্ডে আরও ১০০০ সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র

পোল্যান্ডে আরও এক হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2019, 07:42 AM
Updated : 13 June 2019, 08:06 AM

বুধবার তিনি পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আনজেই দুদাকে এ প্রতিশ্রুতি দেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, বিবিসি।

ট্রাম্প ও দুদা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক এক যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করার পর হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সেনা মোতায়েনের ওই ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এরপর তারা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের উড্ডয়ন কৌশল প্রত্যক্ষ করেন।

পোল্যান্ডে সম্ভাব্য আগ্রাসন থেকে রাশিয়াকে দূরে রাখতে ওয়ারশ অনেকদিন ধরেই ওয়াশিংটনের কাছে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে আসছিল।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, পোল্যান্ডে নতুন করে যে মার্কিন সেনাদের মোতায়েন করা হবে তাদের জার্মানি থেকে সেখানে পাঠানো হবে। পাশাপাশি ড্রোন ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নেটো বাহিনীর অংশ হিসেবে বর্তমানে জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ হাজার সেনা মোতায়েন আছে।

নতুন সেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিলেও পোল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান ট্রাম্প।

এ ধরনের একটি ঘাঁটি বানাতে ওয়ারশ দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে এমনটি জানিয়ে তার দেশে স্থায়ী মার্কিন ঘাঁটি করার প্রস্তাব দেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট। ওই ঘাঁটিকে ‘ফোর্ট ট্রাম্প’ বলে ডাকা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জবাবে এ প্রস্তাবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘খুব আগ্রহী’ বলে জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, কিন্তু স্থায়ী মার্কিন ঘাঁটির বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। 

যুক্তরাষ্ট্রর এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিলে রাশিয়া প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, এমন সম্ভাবনার কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুদার প্রস্তাব এড়িয়ে গেছেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

পোল্যান্ডে কমিউনিজমের পতনের ৩০তম বার্ষিকী ও নেটোয় পোল্যান্ডের সদস্যপদের ২০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন প্রেসিডেন্ট দুদা।

ওয়াশিংটন থেকে দুদার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, নেভাদা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে জ্বালানি ও প্রযুক্তি নিয়ে তার বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে।