তবে এখনই তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ছেন না। দল নতুন নেতা নির্বাচন না করা পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে না পারার ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মে। তখন ৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করবেন জানিয়ে বলেছিলেন, “যুক্তরাজ্যের স্বার্থে এই বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার জন্য একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা এখন আমার কাছে স্পষ্ট।”
বিবিসি জানায়, মে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর কনজারভেটিভ দলের ১১ এমপি দলীয় প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন। যিনি জিতবেন তিনি আপনাআপনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীও হবেন।
জুলাইয়ের চতুর্থ সপ্তাহে নতুন দলীয় প্রধানের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
এই সময়ে মে দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া:
টোরি এমপিদের মধ্যে যে কেউ দলীয় প্রধান হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারবেন, শুধু পার্লামেন্টে আটজন সহকর্মী তাকে সমর্থন দিলেই হবে।
এভাবে বাছাইয়ে বাদ দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত যখন দুইজন থাকবেন তখন দলের সব সদস্য ভোট দিয়ে তাদের একজনকে বেছে নেবেন। আগামী ২২ জুন ওই ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছর মার্চের হিসাব অনুযায়ী কনজারভেটিভ পার্টির মোট সদস্য এক লাখ ২৪ হাজার।
সর্বশেষ ২০০৫ সালে দলীয় সদস্যদের ভোটে ডেভিড ক্যামেরন দলীয় প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে টেরিজা মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলীয় প্রধান হন।
সদস্যদের ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার চার সপ্তাহ পর নতুন নেতার নাম ঘোষণা করার কথা; যিনি প্রধানমন্ত্রীও হবেন।