৫জি: রুশ টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হুয়াওয়ের

রাশিয়ায় ৫জি প্রযুক্তির উন্নয়নে রুশ টেলিকম কোম্পানি এমটিএসের সঙ্গে চুক্তি করেছে চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2019, 09:55 AM
Updated : 6 June 2019, 09:55 AM

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের তিনদিনের রাশিয়া সফরের শুরুতেই এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  

চুক্তিতে আগামী বছরের মধ্যে রাশিয়ায় নতুন প্রজন্মের ৫জি নেটওয়ার্কের উন্নয়নে কোম্পানি দুটির সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে হুয়াওয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এমটিএসের সঙ্গে তাদের এ চুক্তি হল।

“এ চুক্তি ৫জি প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং ২০১৯ ও ২০২০ সালের মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক চালুর পাইলট প্রকল্পগুলো দেখভাল করবে,” বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে রুশ কোম্পানি এমটিএস।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে থাকা হুয়াওয়েকে এ চুক্তি সামান্য স্বস্তি দেবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

বাণিজ্য নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যে টানাপোড়েন চলছে টেলিকম কোম্পানি হুয়াওয়ে তার অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রেই অবস্থান করছে।

চীনের কমিউনিস্ট সরকার হুয়াওয়ের পণ্যের মাধ্যমে ব্যাপক নজরদারি চালাচ্ছে আশঙ্কায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র এ চীনা টেলিকম জায়ান্ট ও এর ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার না করে উল্টো প্রতিষ্ঠানটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে মিত্রদের উৎসাহিত করে আসছে। 

হুয়াওয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তারা একটি স্বতন্ত্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সঙ্গে চীনের সরকারের কোনো যোগসাজশ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড এরই মধ্যে হুয়াওয়ের ৫জি মোবাইল নেটওয়ার্কের সরঞ্জাম সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

হুয়াওয়ের অগ্রযাত্রা থামাতে গত মাসে ওয়াশিংটন কোম্পানিটিকে ‘কালো তালিকায়’ও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে চীনা এই টেলিকম জায়ান্টের সঙ্গে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্যে নানান বিধিনিষেধ বসেছে।

কেবল প্রযুক্তির লড়াইয়েই নয়, বিশ্বব্যাপী বেইজিংয়ের বাড়তে থাকা প্রভাব কমাতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবেও হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে বলে ধারণা অনেকের।

চলতি বছরের শুরু থেকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিয়েও একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে; একে অপরের শতকোটি ডলারের পণ্যে আরোপ করেছে বাড়তি শুল্ক।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে চলা এ ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন অস্থিরতার জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছে।