শনিবার রাতের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে কয়েকশত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন, কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত কেউ আটকা পড়ে আছেন কি না, তার খোঁজে রোববার উদ্ধারকারীরা এল রেনো এলাকাটিতে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এলাকাটি ওকলাহোমা সিটি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে।
শহরটির মেয়র জানিয়েছেন, দুই জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ২৯ জন সামান্য থেকে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন এবং কয়েকশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ম্যাট হোয়াইট বলেছেন, “টর্নেডোতে কয়েকশত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা তাদের সবকিছু হারিয়েছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের (এনডব্লিউএস) ওকলাহোমা দপ্তর জানিয়েছে, টর্নেডোটির ঘূর্ণি বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ২১৯ থেকে সর্বোচ্চ ২৬৬ কিলোমিটার ছিল এবং এটি সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে আরও টর্নেডো আঘাত হানতে পারে ও ভারি বর্ষণের কারণে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।