শনিবার উরাল নামের এই জাহাজটি সেইন্ট পিটার্সবাগের একটি ডকইয়ার্ড থেকে সাগরে নামানো হয়েছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার পর এই জাহাজটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী আইসব্রেকার হয়ে উঠবে। ৭৫ জন ক্রুয়ের পরিচালনায় উরাল তিন মিটার পুরু বরফের চাঙর ভেঙে এগিয়ে যেতে পারবে।
এর আগে আর্কটিকা (আর্কটিক) ও সিবির (সাইবেরিয়া) নামে এই সিরিজের আরও দুটি আইসব্রেকার নামিয়েছিল রাশিয়া। ২০২২ সালে উরালকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাতোমের হাতে তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
এপ্রিলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, রাশিয়া তার আর্কটিক উপকূলে মালাবাহী জাহাজ চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে আইসব্রেকার নির্মাণে জোর দিয়েছে।
আর্কটিক মহাসাগরে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ের মতো পুরনো ও চীনের মতো নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে মস্কো এসব উদ্যোগ নিয়েছে।
পুতিন জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে রাশিয়ার আর্কটিক জাহাজ বহরে ১৩টি শক্তিশালী আইসব্রেকার নিয়োজিত থাকবে আর তাদের মধ্যে নয়টি পারমাণবিক শক্তি চালিত হবে।
আর্কটিক অঞ্চলে ৪১২ বিলিয়ন ব্যারেলের মতো তেল ও গ্যাসের মজুদ আছে যা বিশ্বের অনাবিষ্কৃত তেল-গ্যাসের প্রায় ২২ শতাংশ বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা হিসাব করেছে।
সাগর পথে এশিয়া থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহনের সময় কমাতে তাদের মুরমানস্ক বন্দর থেকে আলাস্কার নিকটবর্তী বেরিং প্রণালী পর্যন্ত রুটটিকে নিয়মিত করে তুলতে চাইছে মস্কো।