পর্তুগেজা প্রদেশের আকারিউয়া পুলিশ স্টেশনে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় বিবিসি।
সংঘর্ষে অন্তত ১৯ পুলিশ আহত হয়েছেন বলে জানান প্রদেশিক পাবলিক সিকিউরিটি প্রধান অস্কার ভালেরো।
‘বন্দিরা কারাগার ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় পুলিশ বাধা দিলে’ ভয়াবহ এ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে দাবি তার।
দেশটির মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, আকারিউয়া পুলিশ স্টেশনের হাজতে ২৫০ জন বন্দি রাখার জায়গা থাকলেও সেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচশ বন্দিকে রাখা হয়েছিল।
ঘটনার বর্ণনায় ভালেরো সাংবাদিকদের বলেন, ‘বন্দিরা পুলিশের উপর বৃষ্টির মত গুলি করে, এমনকি গ্রেনেডও ছোড়ে’।
পুলিশের উপর এত হামলার পরও কেন শুধু বন্দিরাই নিহত হয়েছে বলে প্রশ্ন করেন দেশটির প্রিজনস অবজারভেটরি রাইটস গ্রুপের হামবার্তো প্রাদো।
তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “সেখানে বন্দি ও পুলিশের মধ্যে কী ধরনের সংঘর্ষ হলো যে শুধু বন্দিরাই মারা গেল? এছাড়া বন্দির কাছে যদি অস্ত্র থাকে তবে প্রশ্ন হচ্ছে তারা সেটা কোথায় পেল?”
রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শুরু হওয়ার পর থেকে ভেনেজুয়েলায় ধরকাপড় ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।