শুক্রবার সন্ধ্যায়ই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে বৈঠক করেছেন মোদী। শপথগ্রহণের দিনক্ষণ নিয়েও হয়েছে আলোচনা। দেশের অর্থনীতিসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দিকটি মাথায় রেখেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভেতরের খবর জানিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে, দলের নেতা অমিত শাহকে সংগঠনের পাশাপাশি মন্ত্রিত্বেও আনা হতে পারে। অসুস্থতার কারণে মন্ত্রিসভায় রাখা নাও হতে পারে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে। আর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র ব্যাপক সাফল্যের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এ রাজ্য থেকে মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
মোদীর বৈঠক শেষের পর থেকেই কার্যত শুরু হয়েছে সপ্তদশ লোকসভা গঠনের রীতিনীতি। সব মন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নেতা হিসেবে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পদত্যাগপত্র পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতিকে। সেইসঙ্গে তাকে ষোড়শ লোকসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে। রাষ্ট্রপতি লোকসভা ভেঙে দেওয়ার পরই নবনির্বাচিত সাংসদদের তালিকা রাষ্ট্রপতিকে দেবে নির্বাচন কমিশন। এরপর শুরু হবে সপ্তদশ লোকসভা গঠনের প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণের দিনক্ষণ জানতে চাইবেন রাষ্ট্রপতি।
নরেন্দ্র মোদীই ফের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হচ্ছেন এটি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট। কিন্তু মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানো হবে, নাকি পুরনোদের উপরই আস্থা রাখা হবে, তা নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে। মোদী ও অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বলছেন, এ বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন অমিত শাহ। ওদিকে, অরুণ জেটলি দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এ কারণে এবার তার পরিবর্তে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পীযূষ গয়ালকে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে সুষমা স্বরাজ এবং প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা নির্মলা সীতারামন- দুইজনের কাজেই প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট হওয়ায় এ দুই দপ্তরে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার মন্ত্রিসভায় কতজন বাড়বে তা নিয়েও চলছে জল্পনা। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের দুর্গ আমেঠিতে জিতেছেন বিজেপি’র স্মৃতি ইরানি। তার পুরস্কার হিসেবে এবার বস্ত্রমন্ত্রণালয় থেকে তার পদোন্নতি একরকম নিশ্চিত। মন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে আরো যাদের নাম এসেছে তারা হলেন, বাবুল সুপ্রিয়, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও জয়ন্ত রায়।
আগের বার দার্জিলিংয়ের সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া এবং আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দু’জনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এবার অন্তত ৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।