উত্তরপ্রদেশে বিজেপি’র জয়রথ, মুখ থুবড়ে পড়েছে মহাজোট

ভারতের লোকসভায় সবচেয়ে বেশি সাংসদ আসেন উত্তরপ্রদেশ রাজ্য থেকেই। ‘তাই উত্তরপ্রদেশ যার, দেশ তার’ স্লোগানই চালু আছে রাজনীতিতে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2019, 06:29 PM
Updated : 23 May 2019, 06:29 PM

উত্তরপ্রদেশের দখল নিতে পারলে প্রধানমন্ত্রিত্বের পথ সুগম বলেও ধরে নেওয়া হয়। ২০১৪ লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে ঝড় তোলাতেই সহজ হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াই।

তাই এবারের ভোটেও বিশেষ নজর ছিল উত্তরপ্রদেশের দিকে। ক্ষমতাসীন এনডিএ, কংগ্রেস বা মায়াবতী-মুলায়ম যেই হোক উত্তরপ্রদেশের দখল নিতে তৎপর ছিল সব পক্ষই।

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী আর মুলায়মের শত্রুতা ভুলে সমাজবাদী পার্টি আর বহুজন সমাজ পার্টি এক জায়গায় এসেছিল। এ কাজটি করেছিলেন মুলায়মের ছেলে ও দলের বর্তমান প্রধান অখিলেশ যাদব। মায়াবতীর সঙ্গে হাত মেলানোসহ আরো কয়েকটি দলকে একাট্টা করে তিনি গড়েছেন মহাজোট। জাতপাতের সমীকরণ দিয়ে ভোটের বাক্সের হিসাব উল্টে দেওয়াই ছিল মহাজোটের লক্ষ্য।

ওদিকে, কংগ্রেসও বসে ছিল না। মহাজোটে না নেওয়ায় ‘একলা চল’ নীতি নিয়েছিল তারা। অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাজ্যটিতে তাদের নীতিতেই অটল ছিল। তাদের এ হিন্দুত্বের নীতিই শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিল। কাজে আসল না মহাজোটের সমীকরণ।

অঙ্কের হিসাবে মহাজোট এগিয়ে থাকলেও তা ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলেনি। ফলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি’রই জয়রথ ছুটেছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।

আর এর দাপটে কংগ্রেস তো বটেই বেসামাল হয়েছে মায়াবতী-অখিলেশের মহাজোটও। আমেঠী আর রায়বরেলিতে কোনোরকমে দু’টি আসন বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন রাহুল। সব মিলিয়ে পাঁচ বছরের জন্য আবার মুখে হাসি ফুটেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার প্রধানমন্ত্রিত্বর পথে ফের ফুল ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ।