বিশ্ব নেতাদের ‘অতি জরুরি’ ভিত্তিতে বিষটিকে আরো গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
জেনেভায় জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ইউএনআইডিআইআর) এর পরিচালক রেনাটা ডন বলেন, পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ সব দেশেই সেগুলো আধুনিকায়নের কাজ চলছে। ওদিকে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত যে প্রতিযোগিতা চলছে, খানিকটা এ কারণেও প্রতিটি দেশে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে কাঠামগত পরিবর্তন হচ্ছে।
“নতুন নতুন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যে জরুরি অবস্থা দেখা দিচ্ছে তাতে ঐতিহাসিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিগুলো দিন দিন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী, ব্যক্তিগত বাহিনী এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় আক্রমণ এবং আত্মরক্ষার মধ্যে তফাত থাকছে না।”
গত দুই দশক ধরে পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যে ১২২টি দেশ পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার চুক্তিতে সাক্ষর করেছিল তাদের কেউ কেউ হতাশ হয়ে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে, আবার কেউ কেউ নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে পারে আশঙ্কায় বেরিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
“আমার মনে হয় বিষয়টি উপলব্ধি করার সময় হয়েছে। কোনো কারণে সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা আলোচনা হচ্ছে না। অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার এবং পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।”